সঙ্গীর ভালোবাসা পেতে কে না চায়! এজন্য সব দম্পতিই তাদের বিয়ের বন্ধন শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শের খোঁজ করেন। ভালো থাকার চেষ্টা সবার মধ্যেই থাকে। তাদের জন্য কিছু পরামর্শ :
বোঝাপড়া প্রয়োজন
বোঝাপড়ায় ঘাটতি থাকলে অনাকাঙিক্ষত ঝগড়াঝাটি বেড়ে যায়, তখন দম্পতিরা সাধারণ বিয়ে সংক্রান্ত উপদেশ মেনে সমস্যা সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে। কাজ কিংবা কথা নয়, এর পেছনের উদ্দেশ্য দেখুন। সব সময় মনে রাখুন এবং ধরে নিন যে আপনার সঙ্গী আপনাকে আঘাত করার মতো কিছু করবে না। এতে হতাশা, দোষারোপ এবং অপরাধবোধ অনেকাংশে কমে আসবে। সঙ্গীর যে আচরণ আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, সেটি হয়তো তিনি বুঝে করেননি। এটা বোঝার চেষ্টা করুন। সব কাজ ইচ্ছাকৃত নয় তা জানা থাকলে ঝগড়াঝাটির সময় বলা কথা নিয়ে পরবর্তীতে ঝামেলা হবে না।
অতিরিক্ত আর্থিক চিন্তা বাদ দিন
টাকা নিয়ে ঝগড়া করবেন না। আর্থিক সামর্থে্যর দিকে খেয়াল রেখে চাহিদা ঠিক করুন। দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়াঝটির সবচেয়ে বড় কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো অর্থ। দম্পতিরা একে অপরের ব্যয়ের অভ্যাস নিয়ে ঝগড়া করার বদলে দুজন মিলে সমাধান খুঁজতে পারেন। এতে দুজনেরই কিছু কিছু ছাড় দিতে হতে পারে। এতে দিনশেষে সম্পর্ক সতেজ আর সজীব থাকবে।
আরো পড়ুন:
পুরুষদের ৭টি শারীরিক লক্ষণ কঠিন রোগের পূর্বাভাস!
অনুভূতির ভুল ব্যাখ্যা করে থাকলে স্যরি বলুন
অভিমান শক্তিশালী এক অনুভূতি। অভিমানকে রাগ হিসেবে বিবেচনা করা দাম্পত্য সম্পর্কে ক্রাইমের মতো। স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সঙ্গে আরও বেশি করে সময় কাটানো উচিত। সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো বুঝতে চেষ্টা করতে হবে। এতে ভুল ব্যাখ্যার সম্ভাবনা হ্রাস করে। দিন শেষে ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতে আলতো করে চুমু দিতে ভুলবেন না যেন!
প্রেমের সম্পর্ক ভালো রাখতে পারেন যেসব উপায়ে
প্রথম দেখায় হয়ে যায় প্রেম। ভালবাসার মানুষের জন্য দুরুদুরু করে বুক। বাঁধাহীন আবেগ, সঙ্গীর জন্য অন্তহীন অপেক্ষা, দুচোখ ভরা স্বপ্ন, সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে। মাঝে মাঝে নতুন নতুন উপহার দিয়ে চমকে দিতেও ভালো লাগে।
তবে হঠাৎ হতে পারে ছন্দপতনও।
প্রেম যত প্রবীণ হয়, উচ্ছ্বাস তত কমে, অভিজ্ঞতার ভারে তার ভিত মজবুত ও পাকাপোক্ত হয় আরো বেশি। সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক কতটা মজবুত হবে, তা শুধু একে অপরের প্রতি ভালবাসার ওপরই নির্ভর করে না। ভালবাসা ছাড়াও সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে আরো কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হয়।
তাই ছোট ছোট কয়েকটি কৌশলে অনুসরণই হয়ে উঠতে পারে প্রেমকে আরো পাকাপোক্ত করার চাবিকাঠি। তাহলে জেনে নিন সে কৌশলগুলো।
১। সম্পর্ক নতুন হোক বা পুরনো। সম্ভব হলে দিনে অন্তত এক বার দেখা করার চেষ্টা করুন। সেই সময় নিজের সমস্যা, পেশাগত জটিলতার কথা না বলে শুধুই ভালবাসার কথা বলুন।
২। একে অপরের জন্য স্বার্থত্যাগ করা খুব জরুরি।
আরো পড়ুন:
৭ ধরণের পুরুষকে কোন কিছুতেই না বলতে পারেন না মেয়েরা!
মনে অভিমান পুষে রেখে সম্পর্ককে আরো জটিল করা কোনোভাবেই উচিত নয়। দরকার হলে একে অপরের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। নিজেদের পছন্দ অপছন্দগুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
৩। পারস্পরিক বোঝাপড়া খুবই জরুরি। ভুল বোঝাবুঝি যত কম হবে, ততই সম্পর্ক আরো গভীর হবে।
৪। সম্পর্কে ওঠা নামা থাকবেই। তাই সম্পর্ক ভালো রাখতে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখাটা খুব জরুরি।
৫। যে কোনো সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। পছন্দ বা ভাল লাগা আলাদা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। পরস্পরের পছন্দ অপছন্দগুলোকেও মর্যাদা দিতে হবে। দুই জনেই তাদের ভাবনাগুলো ভাগাভাগি করে নিতে হবে।
৬। সম্পর্কে কোনো জড়তা রাখা যাবে না। সম্পর্ককে সহজ করে তুলতে কোনো কিছু চেপে না রেখে মন খুলে বলে দিতে হবে। এমনকি সঙ্গীর কোনো আচরণও খারাপ লাগলে, তাকে সরাসরি বলুন।
৭। একে অপরের পাশে থাকুন। পরিস্থিতি যতই জটিল হোক, যতই বাধাবিপত্তি আসুক, পরস্পরের হাত শক্ত করে ধরে রাখুন।
৮। একে অপরের খারাপ সময়ে মানসিক সাপোর্ট দিন। সম্পর্ক ভালো রাখতে মানবিক স্পর্শ জরুরি।
আরো পড়ুন:
ঘরে সুন্দরী স্ত্রী থাকতেও অন্য নারীর প্রেমে কেন গলে যান পুরুষরা!
৯। প্রেমে পড়লে যে কেউ একটি নিশ্চিন্ত আশ্রয় খোঁজেন। সেই ভরসার জায়গা হয়ে উঠুন।
১০। ভালবাসার মানুষটিকে বার বার বলুন ভালবাসার কথা। ভাল সম্পর্কের জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন তার প্রকাশেরও।
১১। দায়িত্ব নিতে শিখুন। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অন্যতম শর্ত হল দায়িত্ব নেওয়ার সাহস।
সূত্র: আনন্দবাজার