দুর্নীতির অভিযোগে আলোচনায় আসা সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের চেয়েও ক্লাব প্রেমে এগিয়ে আছেন পরীমণিকাণ্ডে আলোচিত ব্যবসায়ী ও ঢাকা বোট ক্লাবের ফাউন্ডার মেম্বার নাসির ইউ মাহমুদ।
দুজনই কোটি কোটি টাকা খরচ করে এসব ক্লাবের মেম্বার হয়েছেন। নাসির উত্তরা ক্লাব, বোট ক্লাব ও গুলশানসহ প্রায় ১৫টি ক্লাবের মেম্বার আর বেনজীর আহমেদ ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, উত্তরা ও বনানী ক্লাবের মেম্বার।
আরো দেখুন:
কার্ড প্রকাশ, বিয়ে করছেন দীঘি!
অভিযোগ উঠেছে, অবসরের মাসখানেক আগে ঢাকা বোট ক্লাব ছাড়াও প্রায় তিন কোটির বেশি টাকা খরচ করে চারটি অভিজাত ক্লাবের মেম্বার হয়েছেন বেনজীর। প্রশ্ন উঠেছে সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ক্লাবগুলোর মেম্বার হওয়ার টাকার উৎস নিয়ে।
বেনজীর আহমেদের অবসরের পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মূলত আলোচনার শীর্ষে আসেন । বাদ যায়নি তার স্ত্রী সন্তানদের নামও। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আইনভঙ্গ করে তথ্য গোপনের মাধ্যমে নিজেই ব্যবহার করেছেন সাতটি পাসপোর্ট।
আরো দেখুন:
আমাকে রিমান্ডে কী করেছে, কেউ জানতে চায়নি: পরীমণি!
ঢাকা বোট ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাসির জানান, আমার জানামতে ঢাকাতে প্রায় সব ক্লাবেই বেনজীর সদস্য হয়েছেন। আইজিপি থাকা অবস্থায় এসব ক্লাবের সদস্য হন তিনি। তবে, যে উদ্দেশ্য নিয়ে বেনজীরকে বোট ক্লাবে যুক্ত করা হয়েছিল পরে তা হতাশায় পরিণত হয়।
এদিকে, নাসির উই মাহমুদ নিজেও বহু অভিজাত ক্লাবের সদস্য। তিনি আলোচনায় আসেন মূলত পরীমণিকাণ্ডে। এরপর তাকে গ্রেপ্তারও করা হরেছিল। সেই নাসিরও ক্লাব প্রেমে হার মানিয়েছেন বেনজীরকে। তিনি গুলশান, বারিধারা, বনানী, ধানমন্ডিসহ প্রায় ১৫টি ক্লাবের মেম্বার।
আরো দেখুন:
দোষ আমিও নিয়েছি, সাকলায়েনও নিয়েছে: পরীমণি
নাসির বলেন, নিজেকে অভিজাত্যের জানান দিতেই এসব দামি ক্লাবের মেম্বার হন অনেকেই। আমি নিজেও ঢাকার বেশিরভাগ ক্লাবের সঙ্গে জড়িত। সদস্য হয়ে কোনো লাভ নেই, তবে সম্মান আছে। তার দাবি, ক্লাবগুলোতে অবৈধ উপায়ে নয়, বৈধভাবেই মদের বেচা-কেনা চলে।
তবে ক্লাবগুলোতে মাদকের বাণিজ্য ও কর ফাঁকির বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিৎ বলে মনে করেন সচেতন মহল।