ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে জয়ে খুব কাছে গিয়ে হেরেছে বাংলাদেশ। নিউইয়র্কের নাসাউয়ের কঠিন পিচে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখাছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয়। তবে এক আম্পায়ার্স কলে তছনছ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন। এদিন অবশ্য ভাগ্যও কিছুটা খারাপ ছিল শান্তদের।
বাউন্ডারি লাইনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যাচ। তার আগে আম্পায়াদের দুটো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। সবমিলিয়ে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের হারের চিত্রনাট্য যেন একটু বেশিই বৈচিত্রপূর্ণ ছিল। তবে, ফলাফল ছাপিয়ে আলোচনায় আম্পায়ারিং ইস্যু। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার সাইমুন ডুল।
আরো পড়ুন:
‘ভালো খেলেও বাদ পড়েছিলাম, কারণ জানতে চাওয়াটাই বড় সমস্যা ছিল’ !
নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই ক্রিকেটার জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আপনি ভাবুন একবার, এটা যদি ফাইনাল ম্যাচ হতো। এটা মেনে নেওয়া সহজ নয়। তবে, এই বিষয়ে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন।
যে সিদ্ধান্ত আম্পায়ার দিয়েছে সেটা খুবই বাজে। এটা কোনোভাবেই এলবিডব্লিউ হয় না। সে এত দ্রুত আউটের জন্য হাত তুলেছে, সেটা অবাক লেগেছে। পুরো টুর্নামেন্টে দারুন সব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আম্পায়াররা। তবে, এটা সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত ছিল।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখানে চার রান পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের, কিন্তু তারা সেটা পায়নি। যদি এটা বিশ্বকাপের ফাইনাল হতো, আর একটি দল এমন সিদ্ধান্তের কারণে ম্যাচ হেরে যায়, সেটা মেনে নেওয়া কঠিন। এখানে পরিবর্তন প্রয়োজন। আমি প্রতিবার আইসিসির টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলি। মাঠে আম্পায়ারিং নিরপেক্ষ হওয়াটা জরুরি।’
আরো পড়ুন:
অনুশীলন ছাড়া সবই করছেন ক্রিকেটাররা!
উল্লেখ্য, ম্যাচের ১৭তম ওভারে প্রোটিয়া ডানহাতি পেসার ওটেনিল বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি ফ্লিক করতে গেলে প্যাডে লাগে মাহমুদউল্লাহর। আবেদন হলে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে রিভিউতে দেখা যায়, বল লেগস্টাম্প মিস করেছে।
ফলে মাহমুদউল্লাহ বেঁচে যান। অবশ্য তার প্যাডে লেগে বল বাউন্ডারি পার হয়ে গিয়েছিল। লেগবাই ৪ রান পেত বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার শুরুতে আউট দেওয়ায় বল ডেড হয়ে সেই ৪ রান বাতিল হয়ে যায়। আর বাংলাদেশ ম্যাচও হারে ৪ রানেই। আর এরপরই ডেডবলের এই নিয়ম নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।