পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিরল ২ কেজি ৭০০ গ্রামের একটি ‘কিং চান্দা’ মাছ।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে এ মাছটি সৈকতের ফ্রাই মার্কেটে বিক্রি করতে নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি দেখতে ভিড় জমায় কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা।
মাছটির গায়ের রঙ হালকা খয়েরী। মুখের অংশ ছোট। সামনের দিকে দুটি বড় চোখ রয়েছে। লেজটি শরীর থেকে আলাদা করে বের হয়েছে। লেজের অংশের দিক থেকে তাকালে দেখতে অনেকটা আপেলের মতো। এ মাছের শরীর বেশ পুরু।
স্থানীয় জেলেরা জানান, এ মাছটি গত দুদিন আগে এক জেলের জালে ধরা পড়ে। তবে ওই জেলের নাম জানা যায়নি। আজ সকালে মাছটি সমুদ্র সৈকত এলাকায় নিয়ে আসা হলে বশির নামের স্থানীয় এক ফ্রাই ব্যবসায়ী ৮৫০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে নেন। পরে মাছটি তিনি এক পর্যটকের কাছে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি করেন। তবে এ মাছ গত তিন বছরে সৈকত এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে ফ্রাই ব্যবসায়ীরা।
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেনেবল কোষ্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ও সামুদ্রিক প্রাণি বিশেষজ্ঞ কামরুল ইসলাম জানান, এ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম প্যালাটাক্স তেইরা। লম্বা লেজযুক্ত এ মাছকে বাদুর মাছ বা লংফিন ব্যাট ফিস বলে বা লং ফিন স্পেড ফিস বলে (কোদাল মাছ)। এরা ইপিপফিডি পরিবারের মাছ। এ মাছ ছোট আকৃতি থেকে বড় হলে এদের গায়ের রঙ পরিবর্তন হয় এবং প্রথম অবস্থায় রুপার রঙ পরে বাদামী এবং কালো বাদামী রঙের হয় যা পরবর্তীতে আবার রুপার রঙে রূপান্তরিত হতে পারে। এ সব মাছের মাথা গোলাকৃতির ও মুখ খুব ছোট হয়। এ প্রজাতির মাছ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, মান্নার সাগর, ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যায়। এ মাছের ওজন ১০ থেকে ১২ কেজি পর্যন্ত হয়।
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, এ মাছ সচরাচর দেখা যায় না। তবে মাছটি আমরা খুঁজতে গিয়ে আর পাইনি। শুনেছি এক পর্যটকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।’