ছোট থেকে বড় সবাই চুইংগাম খেতে বেশ পছন্দ করেন। তবে চুইংগাম চিবিয়ে ফেলা দেওয়ার জন্য, গিলে খেয়ে ফেলার জন্য নয়। কিন্তু তারপরও অনেকেই চুইংগাম চিবানোর সময় অসাবধানতাবশত গিলে ফেলেন।
কারো কারো ধারণা, চুইংগাম গিলে ফেললে তা ৭ বছর পর্যন্ত পেটে থেকে যায়। কিন্তু কানাডার ম্যাপল হলিস্টিক্সের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ক্যালেব বেক বলেন, ‘চুইংগাম গিলে ফেললে তা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও বিপজ্জনক কিছু নয়। আর চুইংগ্রাম গিলে ফেললে তা ৭ বছরে পর্যন্ত পেটে থেকে যায়, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এই রূপকথাটি ততটাই সত্য যতটা তরমুজের বীজ গিলে ফেললে পেটে তরমুজের গাছ গজানোর ব্যাপারটি।’
চুইংগাম গিলে ফেললে তা আপনার পেটে ৭ বছর অবধি থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটা সত্যি যে, চুইংগামের সিন্থেটিক অংশ হজম হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু চুইংগামের সিন্থেটিক অংশটি বেশি হলে এক সপ্তাহ পেটে থাকতে পারে। এরপর তা মলে পরিণত হয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তার মানে এই নয় যে আপনি মাঝে মধ্যেই চুইংগাম গিলে ফেলতে পারেন। এমনটা করা মোটেও ঠিক হবে না। চুইংগাম গিলে ফেললে তা আমাদের দেহের কোনো উপকারে আসে না।
কিন্তু আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে চুইংগাম গিলে ফেলেন তাহলে তা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। পাকস্থলিতে ব্লকেজ সৃষ্টি করতে পারে। বেশি পরিমাণে গিলে ফেলা চুইংগাম পাকস্থলি থেকে বের করার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
পাকস্থলি ব্লকেজের উপসর্গ হিসেবে পেটে ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে, কিংবা বমিও হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
হেলথ লাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুরা চুইংগাম গিলে ফেললেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বড়দের মতো শিশুদের ক্ষেত্রেও মলে পরিণত হয়ে চুইংগাম বেরিয়ে যায়।
তবে যেসব শিশুদের চুইংগাম চিবানোর মতো বয়স হয়নি, তাদেরকে চুইংগাম দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ শিশুদের বেশি পরিমাণে চুইংগাম গেলে ফেলার ঝুঁকি থাকে, যা তাদের পাকস্থলিতে ব্লকেজ সৃষ্টি করতে পারে।