নারীদের জন্য কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ

ইসলামি পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত নারীদের আর কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বা কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তালেবান নিযুক্ত উপাচার্য মোহাম্মদ আশরাফ ঘাইরাত গত সোমবার এ ঘোষণা দেন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলছে, আফগান নারীদের জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করার সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি।

ঘাইরাত টুইট করে বলেছেন, ‘যতক্ষণ না প্রকৃত ইসলামি পরিবেশ সবার জন্য প্রদান করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বা কাজ করতে দেওয়া হবে না। ইসলাম প্রথম।’

সোমবার পশতু ভাষায় টুইট করে ঘাইরাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের শিক্ষাদানের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে, তা উল্লেখ করেননি তিনি।

ঘাইরাত আরও বলেন, নারী প্রভাষকের স্বল্পতার কারণে পুরুষ প্রভাষকদের পর্দার পেছন থেকে ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এভাবে ছাত্রীদের শিক্ষার জন্য একটি ইসলামি পরিবেশ তৈরি হবে।

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আশরাফ ঘাইরাতকে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। তাঁর যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। টুইটারে এসব সমালোচনার জবাবে ঘাইরাত বলেন, উপাচার্য পদের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ যোগ্য বলেই দেখেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে ঘাইরাত বলেন, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী প্রকৃত মুসলমানদের সমবেত করার পাশাপাশি গবেষণা ও পড়াশোনা স্থান তৈরি করা এবং আধুনিক বিজ্ঞানকে ইসলামিকীকরণ করা।
টুইটারে ঘাইরাত আরও বলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি যে আমরা সত্যিকারের ইসলামি পরিবেশ থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য মুসলিমপন্থী পণ্ডিত ও ছাত্রদের স্বাগত জানাব।’

Full Video


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এটা দেখেছেন কি? দেখে নিন