দুই বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা : শিক্ষামন্ত্রী

করোনা সংক্রমণের কারণে গেল বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। সরকারের সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এ ছুটি আছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়েছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আসলে কবে খুলবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ রোববার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেন, যদি সংক্রমণের হার একেবারে কমে আসে, সেক্ষেত্রে হয়তো সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একসঙ্গে খুলে দেওয়া যেতে পারে। আর যদি সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমে, সে ক্ষেত্রে যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকা পেয়ে যাবেন, সে ক্ষেত্রে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় আগে খুলে দেওয়া হতে পারে। আর মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যখনই খোলা হবে, পরিকল্পনা আছে সবাইকে একবারে না এনে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন শতকরা ৫ ভাগ বা তার কম সংক্রমণ হলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়। সেটি যেমন মাথায় রাখা হচ্ছে, একই সঙ্গে যেহেতু এখন টিকা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়া প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অধিকাংশকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। কাজেই বাকি শিক্ষার্থীদেরও যদি টিকার আওতায় নিয়ে আসা যায়, সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ একেবারে শতকরা ৫ ভাগে না নামলেও একটা যথেষ্ট পরিমাণে নিচে নামলেই হয়তো শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসা যাবে।

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। এখন সেটি নির্ভর করছে অবস্থা কখন কী রকম দাঁড়ায় তার ওপর।

তিনি বলেন, গেল বছরের অভিজ্ঞতা বলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ অনেক কমে গিয়েছিল। এ বছরও সেটি হলে সে সময়ে আমরা ভেবেছি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারব। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া সম্ভব হবে।

Full Video


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এটা দেখেছেন কি? দেখে নিন