পরীর একসঙ্গে একাধিক স্বামী ও ‘বানু’ কাটার গল্প

আলোচিত নায়িকা পরীমণির সঙ্গে তার প্রথম স্বামী ফেরদৌস কবীর সৌরভের এখনো তালাক হয়নি। কাগজে কলমে দু’জন এখনো স্বামী স্ত্রী। এমন দাবি করেছেন সৌরভ। প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই পরীমণি অন্যজনকে বিয়ে করেন বলে দাবি সৌরভের। পরবর্তীতে আরেকজনের সঙ্গে বাগদান করেছিলেন। তার সঙ্গে বিয়ের গুঞ্জন ওঠে। পরবর্তীতে অপরজনকে বিয়ে করেন পরী।

প্রথম বিয়ে:

বুধবার (০৪ আগস্ট) বিকেলে পরীমণিকে বাসা থেকে আটকের পর তার প্রথম স্বামী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের এখনো তালাক হয়নি। ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কেশবপুর পৌরসভার এমএমআরও কাজী এম ইমরান হোসেন এক লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন।

৬ নং ক্রমিকে জন্ম তারিখ ১৫/১২/১৯৯২ লেখা হয়। তবে ৪ নং ক্রমিকে তার স্থায়ী ঠিকানায় পিতা মৃত মনিরুল ইসলাম, মাতার নাম মৃত সালমা সুলতানা, গ্রাম বাকা, পোস্ট ও উপজেলা কালিয়া, জেলা নড়াইল উল্লেখ রয়েছে। বিয়ের কাবিনে (নিকাহনামা) পরীমণি সই করেন শামসুন্নাহার স্মৃতি নামে।

সৌরভ পেশায় ফুটবল খেলোয়াড়। তার দেওয়া তথ্য মতে, খেলার জন্য সৌরভকে ঢাকায় আসতে হয়। বাসা নেন বনশ্রীতে। পরীকে ভর্তি করানো হয় মিরপুরের একটি কলেজে। সেখানে মিডিয়ায় জড়িত এক ব্যক্তির নজরে পড়েন পরী। পরীর বিভিন্ন রকম ছবি তুলে পত্রিকায় ছাপেন ওই ব্যক্তি। এরপর তাকে মডেল ও অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখান সেই ব্যক্তি। তখন থেকেই শামসুন্নাহার স্মৃতি নাম পাল্টে পরীমণি হয়ে যান।

দ্বিতীয় বিয়ের তথ্য সৌরভের:

এর কিছু দিন না যেতেই পরীমণি উশৃঙ্খল জীবন যাপন শুরু করেন। ফলে স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব শুরু হয়। পরে মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত সেই ব্যক্তিকে পরীমণি বিয়ে করেছেন বলে সৌরভ জানতে পারেন। তবে সৌরভের সঙ্গে পরীমণির তালাক হয়নি। এরপর ২০১৫ সালে সৌরভ ঢাকা ছেড়ে কেশবপুরে ফিরে যান।

বাদগান ও তৃতীয় বিয়ের গুঞ্জন:

এর পরে পরীমণি ও সাংবাদিক তামিম হাসানের মধ্যে বাগদান হয় ২০১৯ সালে ১৪ই ফেব্রুয়ারি। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের তারা বাগদানের তথ্য জানান। তবে দৈনিক প্রথম আলোর এক খবরে বলা হয়, ‘২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমের ঘোষণা আর ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। যদিও পরীমণি ও তামিম অনেক আগেই গোপনে বিয়ে করেছেন—এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।’

সবশেষ বিয়ে:

তবে পরীমণি আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণা দেন ২০২০ সালে। ১০ মার্চ পরীমণি বিয়ে করেন কামরুজ্জামান রনির সঙ্গে। রনি একজন সহকারী পরিচালক। নাটকীয় সেই বিয়েতে তারা মাত্র ৩ টাকা কাবিন করেছিলেন।

রনিকে বিয়ে করে তিনি উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেছিলেন বলেছিলেন, কাবিন কোনো বিষয়ই না। পারস্পরিক সম্পর্কটাই আসল। কিন্তু কিছু দিন যাওয়ার পরই তাদের সম্পর্কের বিষয়টা আড়াল হতে থাকে। এক পর্যায়ে পরী জানান, তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আর বিয়েটাও সিরিয়াসলি করেননি।

পরীর ‘বানু’ কাটার গল্প:

পরীর প্রথম স্বামী সৌরভ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কলেজে মিডিয়ার মানুষটির সঙ্গে পরিচয় ও গণমাধ্যমে ছবি ছাপা হওয়ার পর পরী বেপরোয়া হয়ে যান। পরীর নানীর দেওয়া নাম ছিল পরীবানু।

মডেল অভিনেত্রী হওয়ার জন্য তখন তিনি পরীবানু থেকে ‘বানু’ শব্দ ফেলে দিয়ে পরীমণি নাম ধারণ করেন। একই সঙ্গে উশৃঙ্খল জীবন যাপন শুরু করেন। ফলে স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব শুরু হয়। পরে মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত সেই ব্যক্তিকে পরীমণি বিয়ে করেছেন বলে সৌরভ জানতে পারেন। এরপর ২০১৫ সালে সৌরভ ঢাকা ছেড়ে কেশবপুরে ফিরে যান।

সৌরভ বলেন, সবশেষ ২০১৬ সালে পরীমণির সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়। তবে তারা কেউ কাউকে এখনো তালাক দেননি বলে সৌরভ জানান।

এদিকে পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর বনানী থানায় এই মামলা করে র‌্যাব।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই মামলায় পরীমণির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া আলাদাভাবে মাদক আইনে একই থানায় নজরুল রাজ ও সবুজ আলীর বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। বনানী থানায় মামলা দায়েরের পর পরীমণি ও তার ম্যানেজারকে আদালতে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আদালতে নেওয়া হবে নজরুল রাজ ও তার ম্যানেজারকেও।

Full Video


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এটা দেখেছেন কি? দেখে নিন