কে এই পরী মণি? কিভাবে উঠে এলেন?

কে এই পরী মণি? শামসুন্নাহার স্মৃতি থেকে পরী মণি হয়ে উঠেছেন কিভাবে? সিনেমার নায়িকা পরিচয় হলেও সিনেমার ক্যারিয়ার শুধুই ধূসর। খুব বেশি সিনেমা নেই। তবে রুপালি পর্দার এ নায়িকার আলোচনা আছে ব্যাপক। তাঁর বিপুল অর্থবিত্ত নিয়েও রয়েছে নানা মহলের প্রশ্ন।

চলচ্চিত্রের চালচিত্রে নাম যতোটা আলোকিত করতে পেরেছেন ততটা আলোচিত নয় পরী মণির ক্যারিয়ার। নামেই যেন সব। আট বছরে অভিনয় করেছেন মাত্র ২৪টি ছবিতে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ছয় সিনেমা। রুপালি পর্দায় তিনটি ছবির চরিত্র আলোচনায় এলেও বাকিটা ছিল ধূলি ঢাকা ধূসর। প্রযোজকরা তাঁর পেছনে ২০ কোটি টাকা ব্যয় করলেও যার বিপরীতে তাদের আয় মাত্র পাঁচ ভাগের এক ভাগ। বক্স অফিসে আলোচনায় মাত্র দুই সিনেমা ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’ এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’।

‘ডানাকাটা পরী’র পিছে রয়েছে শামসুন্নাহার স্মৃতির গল্প। ১৯৯২ সালে নড়াইলে জন্ম নেওয়া স্মৃতি খুব ছোটবেলায় মা এবং পরে বাবাকে হারিয়ে বড় হন পিরোজপুরে নানার কাছে। সেখান থেকেই মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শেষে ২০১১ সালে আসেন ঢাকায়। নাচ শেখেন। পরে মডেলিং থেকে ছোট পর্দায় আবির্ভাব, টিভি নাটকে অভিনয়। শামসুন্নাহার নাম বদলে হয়ে ওঠেন পরী মণি। এরপর রূপালী পর্দায় আসা। শামসুন্নাহার স্মৃতি হয়ে উঠেন পরী মণি।

২০১৩ সালের শেষের দিকে প্রথম ছবির শুটিং করেন পরী মণি। ওই ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই তিনি অভিনয় করে ফেলেন এক ডজনেরও বেশি ছবিতে। চুক্তিবদ্ধ হন দেড় ডজন ছবিতে। অল্প সময়ে এত বেশি সংখ্যক ছবিতে অভিনয় করলেও আলোর মুখ দেখেনি কোনোটাই। ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় পরী মণির প্রথম চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। ‘রানা প্লাজা’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বেশি আলোচনায় আসেন ঢাকাই সিনেমার এ নায়িকা।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে পরী মণির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা এবং সেগুলো ভেঙে যাওয়ার খবর বের হয়। সিনেমার চেয়েও অন্যজগতেই যেন বেশি আলোচনার ঝড় তুললেন এই রুপালি ঢাকাই সিনেমার নায়িকা।

Full Video


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এটা দেখেছেন কি? দেখে নিন