অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ২০০২ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা তারকা ইউ সাং-চুলের। ১৯৯৪-২০০৫ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ইউ ১২৪টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০০২ সালে জাপানের সাথে যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের মাধ্যমে বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম জয় তুলে নিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। ঐ ম্যাচটিতে গোল করে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন ইউ। জাতীয় দলের হয়ে তিনি ক্যারিয়ারে ১৮টি গোল করেছেন।
কোরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় ইউ’র জন্য শোক জানিয়ে লিখেছে, ‘আমরা আজীবন তোমার সাথে আমাদের ফুটবলের যে স্মরণীয় স্মৃতি ও গর্ব জড়িয়ে আছে তা মনে রাখব। শান্তিতে থেক তুমি।’ঘরের মাঠে সেবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে পর্তুগালকে পরাজিত করার পর শেষ ১৬’ রাউন্ডে ইতালির বিপক্ষে গোল্ডেন গোলে জয়ী হয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। স্পেনের শেষ আটে নির্ধারিত সময়ের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হওয়ার পর পেনাল্টিতে জয়ী হয়ে কোরিয়ানরা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে টিকিট পায়। সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করেছিল স্বাগতিকরা। তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচে তুরষ্কের কাছে ৩-২ গোলে পরাজিত হয়। ফিফার সর্বোচ্চ আসরে এশিয়ান কোনো দল হিসেবে এটাই কোন দলের সেরা পারফরমেন্স।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বৈচিত্রপূর্ণ মিডফিল্ডার ইউ রক্ষনভাগ ও আক্রমনভাগেও খেলেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে সাতটি ম্যাচেই অংশ নেয়ায় ২০০২ বিশ্বকাপের অল-স্টার দলেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি ফুটবলকে বিদায় জানান। ২০১১ সালে কে-লিগে ডিওন সিটিজেনের কোচ হিসেবে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি ইনচিওন ইউনাইটেডের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।২০১৯ সালের নভেম্বরে তার দেহে ক্যান্সারের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। কিন্তু তারপরেও তিনি দলের সাথেই ছিলেন। তার অধীনে ইনচিওন দ্বিতীয় টায়ার থেকে রেলিগেশন এড়িয়েছে।