নওগাঁর রাণীনগরে জেসমিন আকতার বেলো (৩০) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যু নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (০৪ জুন) রাত সাড়ে নয়টার দিকে। মৃত জেসমিন চরকানাই গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্দুল বারিকের স্ত্রী।
জানা গেছে, উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের ধনপাড়া মোল্লা পাড়া গ্রামের মৃত বাদেশ সরদারের মেয়ে উপজেলার চরকানাই গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আব্দুল বারিকের সাথে প্রায় ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের আব্দুল জিহাদ (১২) নামের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
জীবন-জীবিকার তাগিদে গত প্রায় ১০বছর আগে আব্দূল বারিক সৌদি আরবে চলে যায়। তার পর থেকেই বারিকের ভাই ভাবীদের কারণে-অকারণে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে গৃহবধূ জেসমিনের সাথে কলহ লেগেই থাকতো। এর জের ধরে বারিকের বড় ভাই জয়বুল দম্পত্তি গত প্রায় ১ মাস আগে জেসমিনকে মারপিট করে। বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য জেসমিন বাদি হয়ে রাণীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে শালিসী বৈঠকে মিমাংসা হলেও জয়বুল তারপরও জেসমিনের সাথে মাঝে মধ্যেই মারমুখী আচরণ করতো।
এ ব্যাপারে জেসমিনের মামা আজাহার আলী জানান, আমার ভাগ্নী জামাই দেশে না থাকার কারণে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জয়বুল দম্পত্তি মিলে মাঝে মধ্যেই ভাগ্নিকে মারপিট করতো। শুক্রবার রাতে জেসমিনকে অসুস্থ অবস্থায় গোপনে তারা নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলে। রাজশাহী নেওয়ার পথে জেসমিন মারা গেলে তারা লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে। সারারাত পার হয়ে গেলেও আমাদেরকে কোন কিছুই জানায়নি। লোক মুখে খবর পেয়ে এসে দেখি আমার ভাগ্নী জেসমিনের মৃত দেহ। আমার ধারণা এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
বারিকের ভাই জয়বুল জানান, আমি এ সময় বাড়িতে ছিলাম না। পরে জানতে পারি তার ছেলে জিহাদের সাথে রাগারাগি করে ঘরের দরজা বন্ধ করে গ্যাস ট্যবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েচেন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাজশাহী নেওয়ার পথে জেমিন মারা যায়। অযথা আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা চলছে।রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিন আকন্দ জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। এখনও কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।