চট্টগ্রামে বাড়ি ফেরার পথে প্রাইভেট কারে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও দুজন। রাজধানী ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধেই এই হামলা বলে দাবি করেছেন আহতেরা।
শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর বাকলিয়ার চন্দনপুরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহতেরা হলেন আব্দুল্লাহ ও মানিক। গুলিবিদ্ধ দুজনের নাম রবিন ও হৃদয়।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির গুলিতে দুজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতে সরোয়ারের নেতৃত্বে মানিক, হৃদয়, আব্দুল্লাহ, ইমন, রবিন একটি ভাড়া করা প্রাইভেট কার নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাড়ে বিরিয়ানি খেতে গিয়েছিল। রাত আড়াইটার দিকে থেকে ফেরার পথে তাদের প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিত গুলি ছুড়ে। এসময় তারা দ্রুত বাকলিয়া এক্সেস রোড দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু হামলাকারীরা চারটি মোটরসাইকেলে প্রায় আড়াই কিলোমিটার প্রাইভেট কারকে ধাওয়া করে গুলি করতে থাকে। এ সময় গাড়িতে থাকা আব্দুল্লাহ ও মানিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
পরে চন্দনপুরায় টহল পুলিশকে দেখে প্রাইভেট কার থামালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চন্দনপুরা এলাকায় কয়েক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গুলএজার স্কুলের সামনে মোটরসাইকেলে করে এসে কয়েকজন প্রাইভেট কারে অতর্কিত গুলি চালায়। এতে প্রাইভেট কারের দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক গুলিবিদ্ধ দাবি করেন, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতে হাসান ও খোকশেদের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুলিতে হতাহতেরা শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ অপর সন্ত্রাসীচক্র সরোয়ার ও বাবলা গ্রুপের সদস্য। গোলাগুলির সময় প্রাইভেট কারে সরোয়ার থাকলেও আহত অবস্থায় পালিয়েছে সে।
পুলিশ কর্মকর্তা জাহেদুল কবির বলেন, প্রাইভেট কারে থাকা ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ মার্চ রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে। এরপর সাজ্জাদের স্ত্রী ফেসবুক লাইভে এসে তাঁর স্বামীকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
