তিন তিনজন মহিলাকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে তাদের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়ে ফেরার স্বামী। নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন বিপত্নীক আবগারি অফিসার হিসেবে আর এই তিন মহিলার মধ্যে একজনকে বুঝিয়ে (False Marriage) তাঁর নামে বাড়ি করার মিথ্যে যুক্তি দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ৪২ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়ে নেন এই ব্যক্তি এবং তারপর পলাতক (UP News) হন তিনি। শনিবার উত্তরপ্রদেশের পুলিশ এই ব্যক্তিকে আটক করেছে।
পিটিআই সংবাদমাধ্যমকে উত্তরপ্রদেশের রবার্টসগঞ্জ থানার অ্যাডিশনাল সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ কালু সিং জানিয়েছেন, ‘বিবাহ বিচ্ছিন্না এক মহিলা যার নাম কিরণ তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন যে ২০১৯ সালে রাজন নামের সেই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। তিনি নিজেকে একজন আবগারি বিভাগের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে তিনি নিঃসন্তান বিপত্নীক।’ কালু সিংয়ের কাছ থেকে জানা যায়, এই কিরণ এবং রাজন ২০২২ সালে বারাণসীর মন্দিরে গিয়ে বিবাহ করেন, এবং দুই বছর ধরে একত্রে থাকতে শুরু করেন। এই সময়ের মধ্যে রাজন কিরণকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাঁর নামে ৪২ লক্ষ টাকার ঋণ তুলে নেন ব্যাঙ্ক থেকে। কিরণকে জানান যে এই টাকাটা একটা বাড়ি বানানোর জন্য দরকার তাঁর’।
এরপরে কিরণ যখন বুঝতে পারেন যে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে তখন তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বুঝতে পারেন যে রাজন কোনওভাবেই ললিতপুরের আবগারি বিভাগের কর্মী নন, যেখানে রাজন তাঁকে বলেছিলেন যে তাঁর বদলি হয়েছে। কিরণ পেশায় একজন শিক্ষিকা, সন্ত কবীর নগরের বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজন ঘেলট নামের এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
আর এই তদন্তে উঠে আসে আরো আশ্চর্য তথ্য। জানা যায় যে এই রাজন সরিতা নামের আরেক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। সরিতা ছিলেন আম্বেদকর নগরের এক স্কুল শিক্ষিকা। ২০১৪ সালে সরিতাকে বিয়ে করেন রাজন। তাদের দুজনের এক সন্তানও জন্মায়। তারপর থেকেই অবস্থা পালটে যায়। ২০১৬ সালে আম্বেদকর নগরের মহিলা থানায় রাজনের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেন সরিতা।
একইভাবে নাম জড়িয়েছে আরও এক মহিলার যার নাম নীলিমা সিং। তিনিও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন যে রাজন নিজের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তাঁকে বিয়ে করে প্রতারণা করেছে।
