ইসলাম বিদ্বেষী মোদি সরকারের সময় ভারতে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা যেনো এখন নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাউড স্পিকারে আজান দেয়ায় ঈমামের বিরুদ্ধে মামলাসহ শুক্রবারে হোলির জন্য মুসলিমদের নামাজ আদায় করতে না দেয়ার ঘোষণার পর এবার নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় মসজিদের সামনেই মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ভারতীয় কট্টর হিন্দুত্ববাদিরা। যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতের একটি মসজিদের সামনে হঠাৎ করেই কট্টর হিন্দুত্ববাদি একটি দল নামাজ পড়ে বের হওয়া মুসল্লিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের মারধর করে আর উচ্চ স্বরে জয় শ্রী রাম বলতে থাকে, তাদের হাতে ছিলো মদের বোতলও। ভিডিওটি রীতিমতো এখন ভাইরাল। যা নিয়ে তোলপাড় চলছে সমগ্র ভারতজুড়ে। একে চলছে পবিত্র রমজান মাস এর ওপর মুসলিমদের ওপর হিন্দুত্ববাদিদের হামলা সবমিলে যেনো দিশেহারা এখন ভারতীয় মুসলমানরা।
ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। মোদির ভারতে যে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয় তার প্রমাণ মিললো আরও একবার। তমা খান নামের এক ভারতীয় ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পবিত্র রমজান মাসকেও ছাড় দেয়া হলো না, আবারও শুরু হয়েছে মুসলমানদের ওপর অন্যায় অত্যাচার। জয় শ্রী রাম কে বলবে আর বলবে না তা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। আমরা আমাদের ধর্ম ঠিকভাবে পালোনের স্বাধীনতা চাই।’
ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানরা যে নিরাপদ নয় তা বারবার প্রমাণ হচ্ছে কট্টর হিন্দুত্ববাদি মোদি সরকারের আচরণেও। মুসলমানদের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ দখল করে রাম মন্দির স্থাপন তার মধ্যে অন্যতম একটি ঘটনা। বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়া সেই ঘটনায় নিহত হয়েছিলো বেশ কিছু ভারতীয় মুসলমান। জয় শ্রী রাম না বলায় ভারতে দিন দুপুরে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। অথচ নরেন্দ্র মোদির দেশের হলুদ মিডিয়াগুলো বাংলাদেশ নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা এতটাই নিরাপদ যে মুসলমানরা পাহারা দেয় তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়। অথচ মোদির দেশে বাধা দেয়া হয় নামাজ পড়তেও।
