সদ্য কলেজ পাস করেছে, চেহারায় মিষ্টি ও নম্র স্বভাবের জন্য এলাকায় বেশ পরিচিত। তার ভাই সাদ্দাম ছিল ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় নেতা, তবে সম্প্রতি ছাত্রলীগের ভেতরে তার কিছু সমস্যা চলছে, রাজনৈতিক বিরোধে কিছু নেতার সাথে তার মতের অমিল হয়েছে। এদিকে, স্থানীয় যুবদলের কর্মী রায়হান, যার সঙ্গেও নিশার কিছুদিন ধরে যোগাযোগ চলছে, তা কেউই জানত না।
নিশার সাথে রায়হানের সম্পর্কের বিষয়টি ধীরে ধীরে আশেপাশের মানুষ টের পেতে শুরু করে। রায়হান ও নিশার সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠতেই গ্রামের বিভিন্ন মানুষ বলতে থাকে, সাদ্দাম হয়তো নিজেই এ সম্পর্ককে মেনে নিয়েছে বা এমনকি পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
কারণ, কিছুদিন আগেই সাদ্দামের ছাত্রলীগে থাকা অবস্থায় বেশকিছু সংকট তৈরি হয়েছে, যেখানে তার পক্ষে অবস্থান নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তার এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য যুবদলে যোগদান করাও হতে পারে তার পরবর্তী পরিকল্পনা। সাদ্দামও বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি, যার কারণে গুজব আরও বাড়তে থাকে।
অনেকে বলতে থাকে, হয়তো সাদ্দাম নিজেই রায়হানকে তার বোনের সাথে সম্পর্ক গড়তে পরোক্ষভাবে অনুমতি দিয়েছে, যেনো যুবদলের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে সেই দলে যোগ দেওয়া সহজ হয়। এক রাতে নিশা নিখোঁজ হয়। সবাই ভাবে রায়হানের সাথে সে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনার পর সাদ্দামের চুপ থাকা, তেমন কোনো অভিযোগ না তোলা, আর স্থানীয় কয়েকজন যুবদলের নেতার সাথে তাকে বেশ বন্ধুসুলভ আচরণ করতে দেখা যায়।
গ্রামজুড়ে কথাবার্তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। কেউ কেউ বলেন, সাদ্দাম হয়তো তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য নিজেই এমন একটি ‘কৌশল’ অবলম্বন করেছে, যাতে যুবদলে যোগ দিতে পারে এবং রাজনীতিতে নতুন প্রভাব বিস্তার করতে পারে। অন্যদিকে, নিশা আর রায়হান তাদের প্রেমকে রাজনীতির বাইরের একটি ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে দেখছে, কিন্তু গ্রামের মানুষ এটা নিয়েও দ্বিধায় পড়ে আছে।