দেশের ৩ শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করেছে এইচএসসি ফেল শিক্ষার্থীরা

সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ফেল করা শিক্ষার্থীরা এই ফলকে বৈষম্যমূলক দাবি করে অভিযোগ তোলেন। এই প্রকাশিত পরীক্ষার ফল বাতিল করে নতুন করে মূল্যায়নের দাবিতে আজ ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করার পর চট্টগ্রাম ও যশোর শিক্ষা বোর্ডও ঘেরাও করলো ফেল করা শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২০ অক্টোবর) ফেল করা শিক্ষার্থীর এক দফা দাবি নিয়ে এসব শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, বাতিল ৬টি পরীক্ষা যে পদ্ধতিতে ম্যাপিং করে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে তাতে চরম বৈষম্য তৈরি হয়েছে। সিলেট মাদ্রাসা বোর্ডের মাত্র ৩টি পরীক্ষা হয়েছে, কিন্তু তাদের সাবজেক্ট ম্যাপিং করায় রেজাল্ট ভালো হয়েছে। অথচ আমরা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফেল করেছি। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।

শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগশিক্ষা বোর্ড ঘেরাও: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের যে ফলাফল দেওয়া হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। আমাদের দাবি একটাই, মাধ্যমিকের ফলাফল অনুযায়ী এইচএসসির ফলাফল দেওয়া হোক।”

এদিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে শিক্ষার্থীরা দাবি মেনে না নেওয়ায় পরে বোর্ড চেয়ারম্যান ও সচিবের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করেন। এসময় দাবি মেনে নেওয়া না হলে সড়ক অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এইচএসসির ফল বাতিলের দাবিতে ‘ফেল’ করা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বোর্ড ঘেরাওএইচএসসির ফল বাতিলের দাবিতে ‘ফেল’ করা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও
বিক্ষোভ চলার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মর্জিনা আক্তার ঘটনাস্থলে আসেন। একইসঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর একটি দলও সেখানে উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো উল্লেখ করে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন দীর্ঘ সময় পরীক্ষা স্থগিত থাকার পর পুনরায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হলে একদল শিক্ষার্থী পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করেন। আন্দোলনের মুখে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অনেকটা বাধ্য হয়েই বাকি পরীক্ষাগুলো “সাবজেক্ট ম্যাপিং” এর মাধ্যমে ফল প্রকাশ করার ঘোষণা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের পর ফেল করা শিক্ষার্থীরা এটিকে বৈষম্যমূলক ফল বলে অভিযোগ করেন।

Full Video


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এটা দেখেছেন কি? দেখে নিন