ছোটপর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের নাভিকাণ্ডের পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে তার কিছু ভিডিও। সেই ভিডিওগুলোতে নেটিজেনরা রীতিমত সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিচ্ছেন। নাভিকাণ্ডের আগে সেভাবে সমালোচিত ছিলেননা এই অভিনেত্রী। বরং আলো আসবেই নামক গ্রুপের স্ক্রিণশট ভাইরাল হলে ছাত্র আন্দোলনে ইতিবাচক ভূমিকার জন্য বেশ বাহবা পেয়েছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে পয়সার উল্টো পিঠ দেখতে শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী।
মাত্র ৫ বছর অভিনয় জীবনের সাদিয়া ৩০ বছরের ক্যারিয়ারসমৃদ্ধ একজন সাংবাদিকের নামে এভাবে প্রকাশ্যে কুৎসা রটাতে পারেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কারণ গোপনে নয়, সাদিয়ার সঙ্গে কথা বলতে বলতেই ভিডিওটি ধারণ করেছিলে অভিযুক্ত সেই সাংবাদিক। এরপরেই বিতর্ক ছড়িয়ে সাদিয়া নিজে যতটুকু আলোচনায় এসেছেন, তারও বেশি ধিক্কৃত হচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকেই।
১৭ মার্চ ১৯৯৮ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন সাদিয়া। সাদিয়া ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে স্নাতক করছেন। ২০১৯ সালে টু বি ওয়াইফ নাটক দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন ্তিনি । খুব অল্প সময়েই মিডিয়া জগতে নিজের অবস্থান পাকাপক্ত করেছেন এই অভিনেত্রী। অভিনয়ে আসার আগে তিনি ইন্ডিয়ান পণ্য বোরো প্লাস এবং নিম ফেসওয়াস এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন ।
এক সাক্ষাৎকারে সাদিয়া জানান ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কোনো সম্পর্কে নেই। তবে খায়রুল বাসারের সাথে তার প্রেম রয়েছে এমন গুঞ্জন উঠেছিলো দর্শকমনে। পরবর্তীতে খায়রুল বাসার জানান এটি গুজব ছাড়া আর কিছুইনা। এরপরেই আয়মান সাদিকের নামের সাথে মিল থাকায় অনেকেই এই অভিনেত্রীকে আয়মান সাদিকের প্রেমিকা মনে করতেন। এই গুঞ্জন আয়মান সাদিকের বিয়ে পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। আয়মান সাদিক তার বিয়ের ছবিতে সাদিয়া আয়মানকে ট্যাগ করলে অনেকেই এই অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানায় ভুলবশত।
তবে এতদিনের সব আলোচনাকে ছাপিয়ে বর্তমানে তার নাভিকাণ্ড রয়েছে শীর্ষে। যার পরিপেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ভিডিওগুলো নতুন করে ভাইরাল হতে শুরু করেছে। বিভিন্ন মিডিয়াসহ অন্যান্য সব পেজগুলোতে তার ভিডিওগুলো রয়েছে ট্রেন্ডিংয়ে। সেই ভিডিওগুলোর কমেন্টবক্সে নেটিজেনরা সাদিয়া আয়মানকে নিয়ে করছেন আলোচনা সমালোচনা।
মাত্র ৫ বছর ক্যারিয়ারের সাদিয়ার অপপ্রচারে ৩০ বছরের ক্যারিয়ারসমৃদ্ধ সাংবাদিকের চাকরি চলে যাওয়ায় বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেননা সাংবাদিক থেকে শুরু করে মিডিয়া অংগনের অনেকেই।তারা বলছেন এ রকম একটা লেইম এবং ছোট ইস্যুতে একজন সম্মানীয় সাংবাদিককে ছোট করার মোটিভ থাকাটা কখনোই একজন শিল্পীর শোভা পায় না।
সাদিয়া আয়মান তার ক্যারিয়ারে যতটা নাম আর দ্যুতি ছড়িয়েছেন, তার চেয়েও বেশি আলোচনা আর সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন নাভি ইস্যুতে এই স্ট্যাটাস কাণ্ডে। ঘুরে ফিরে সবার একটাই কথা, ভিডিওটি যেমন গোপনে ধারণ করা নয়, তেমনি নয় আপত্তিকর।