‘আনকাট সেন্সর’ পেয়ে ঈদে মুক্তির মিছিলে আরও একধাপ এগিয়ে গেল শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘তুফান’। তবে শেষ নেই অভিযোগেরও। কথা উঠেছে, এই ছবি নির্মাণে ভারতে অবৈধভাবে পাচার করা হয়েছে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা।
স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে এক আলোচনা সভায় ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান এই অভিযোগ তোলেন।
শাকিব আমার বন্ধু: পূজা চেরি!
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি এই সিনেমার বাজেট ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা। এতো টাকা আপনি ভারতে নিয়েছেন কীভাবে? আপনি কি এনবিআরের ছাড়পত্র নিয়েছেন? আর নিলেও কতো টাকার ছাড়পত্র নিয়েছেন? আমি একজন সাধারণ প্রযোজক হিসেবে জানতে চাই, এভাবেও কী বিদেশে টাকা নেওয়া সম্ভব?
আরশাদ আদনান বলেন, ৬০ থেকে ৮০ লাখ টাকা এনবিআরকে দেখিয়ে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার সিনেমা বানালো। এই শুভঙ্করের চালটা কী, আলাদিনের চেরাগ কি করে পেল আমি তো বুঝি না।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে কাজ করার নিয়মনীতি তো আছে। আমিও আমেরিকাতে শুটিং করেছি। বৈধ টাকা নিয়ে সবকিছু ক্লিয়ার করে কাজ করেছি। আসলে কী সৎ থাকার ইচ্ছে থাকতে হয়। সর্বোপরি দেশকে না ঠকানোর ইচ্ছে থাকতে হয়। দেশকে কেন ঠকাবো? দেশের যেটা প্রাপ্য, সেটা দিই না কেন দেশকে?
এই প্রযোজক বলেন, শাকিব খান ও চঞ্চল চৌধুরীর পারিশ্রমিক দেশে দেওয়া হয়েছে। আড়াই পার্সেন্ট হারে টাকা দিয়ে তিন শিফটে কাজ করে ৬০ লাখ টাকা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গিয়ে সেখানে শুটিং করা কীভাবে সম্ভব, তা আমার জানা নেই। আমিও তো ৪-৫টি বাংলা চলচ্চিত্র বানিয়েছি। সেটা কীভাবে সম্ভব?
আরশাদ আদনান বলেন, এখন আমাদের প্রশ্ন করার সময় এসেছে। নিজেরা আলাপ না করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন করতে হবে। এভাবেই চলবে?
অনুষ্ঠানে সংগঠনের আহ্বায়ক প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, প্রযোজক আলিমুল্লাহ খোকন, পরিচালক শাহ আলম কিরণ, চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।