নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার গুরুদাসপুর এম হক কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহারের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ওই শিক্ষকের বাবার বাড়ি খামার নাচকৈড় এলাকার আবু বকর সিদ্দিকী কওমী মাদ্রাসা মাঠে রোববার এশার নামাজে তাঁর জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে খামার নাচকৈড় কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
তবে তার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মেলেনি নির্যাতন কিংবা আঘাতের চিহ্ন। শ্বাসরোধেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, রোববার বিকেলে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। ওই সময় মরদেহের গলায় একটি দাগ ছাড়া অন্য কোনো জখম বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরে নাটোর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সামিউল ইসলাম জানান, শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এটা আত্মহত্যা। শ্বাসরোধ হওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে ভিসেরা রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়।
এর আগে রোববার সকালে উপজেলার গুরুদাসপুর এম হক কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহারের মরদেহ শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর বাসা থেকেই তাঁর স্বামী কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে আটক করে পুলিশ।