যদিও ঠোঁট কালো হওয়ার অন্যতম এক কারণ এটি, তবে আরও বেশ কিছু কারণেও ঠোঁটের রং কালো হতে পারে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক আর কী কী কারণে ঠোঁটের রং কালচে হতে পারে-
>> শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হলেও ঠোঁটের রং পরিবর্তন হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি হলে ঠোঁটের কোণে কালচে দাগছোপ দেখা যেতে পারে।
এই ভিটামিনের অভাবে শরীরে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ বাসা বাঁধতে পারে। তাই ঠোঁটে কালো দাগছোপ দেখলে সতর্ক থাকুন।
>> অ্যাডিসনস রোগ নামক রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে কর্টিসোল ও অ্যালডোস্টেরন নামক হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। ফলে দেহের বিভিন্ন অংশ কালো হয়ে যায়। ঠোঁটেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
>> শরীরে পানির ঘাটতি থাকলেও ঠোঁটের রং পরিবর্তন হতে পারে। হঠাৎ ঠোঁটে কালচে দাগ দেখলে বুঝতে হবে শরীরে পানির ঘাটতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে রং বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে ঠোঁট ফাটার লক্ষণও দেখা যায়।
>> ঠোঁটের কালো দাগ ক্যানসারেরও লক্ষণ হতে পারে। যদি এই দাগ ক্রমশ গাঢ় হয়, রক্তপাত কিংবা ক্ষত হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মেলানোমা ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে ঠোঁটের কালচে দাগছোপ।
>> শরীরে থাইরক্সিন হরমোনের ক্ষরণ কমে গেলে কিংবা বেড়ে গেলেও শরীরের বিভিন্ন অংশে দাগছোপ দেখা যায়।
ঠোঁটের উপরেও এর প্রভাব পড়ে। তাই ঠোঁটে কালচে দাগ দেখলে একবার থাইরয়েড পরীক্ষাও করিয়ে নিতে পারেন।
>> গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও নারীদের ঠোঁট কালো হতে পারে। আবার হরমোনজনিত ওষুধ যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপির কারণেও হতে পারে।
>> বেশিরভাগ নারীই ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার করেন। আবার অনেক পুরুষ ঠোঁটে লিপবাম ব্যবহার করেন। তবে জানেন কি, এসব ব্যবহারের কারণে অ্যালার্জির সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে পরবর্তী সময়ে ঠোঁটের রং কালচে হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
>> অনেনকেই বংশগতভাবে হেমোক্রোমাটোসিস নামক একটি সমস্যায় আক্রান্ত থাকেন। এক্ষেত্রে তাদের শরীর খাবার থেকে খুব বেশি আয়রন শোষণ করে ও শরীরে তা সঞ্চয় করে রাখে। এর ফলে ত্বক ও ঠোঁট আরও কালচে হয়ে যায়।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে লেবু, চিনি, মধু, আপে সিডার ভিনেগারসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। এতে ধীরে ধীরে ঠোঁটের কালচে দাগ কমে যাবে।