মে মাসের ৬-৭ তারিখে এ অঞ্চলে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। আর ১২ মে’র মধ্যে তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান-নিকোবর দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তৈরি হতে পারে এই ঝড়, যার সম্ভাব্য গতি হবে ৩৪ নটিক্যাল মাইল এবং স্থলভাগে আঘাত হানার আগে গতি হবে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার।
এ ঝড়ের নাম শ্রীলঙ্কান আবহাওয়া অধিদফতর দিয়েছে আসানি। আসানি সিংহলি ভাষার শব্দ যার অর্থ অত্যন্ত রাগান্বিত বা ক্ষুদ্ধ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী ৬ থেকে ৭ মে’র মধ্যে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি লঘুচাপ তৈরি হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এটি সুনির্দিষ্ট লঘুচাপের পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বর্তমান তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষা ও বাংলাদেশের উপকূলে চলতি মাসের ১০ থেকে ১২ মের মধ্যে আঘাত হানতে পারে।
তিনি বলেন, ‘যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও বাংলাদেশ উপকূল বরাবর দিকটা তৈরি হতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তেই এই পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, গত কয়েক বছরে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে যে লঘুচাপগুলো দেখা গেছে, সেগুলো ক্ষণে ক্ষণে চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও দিক পরিবর্তন করেছে। এ জন্যই বলা যাচ্ছে না যে, এটা আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না। তবে বর্তমান তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী শক্তি অর্জন করে এটির ঘূর্ণিঝড় হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’