মাহে রমজানে মুসলমানরা ফরজ রোজা পালন করে থাকেন। আর এই রোজা রাখার জন্য সেহরি খাওয়ার প্রয়োজন হয়। সে কারণে সেহরির নিয়মকানুন জানার জন্য মুসলামানদের বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। যদিও এটি ফরজ নয়। তাই সেহরি না খেয়েও রোজা রাখা যাবে।
কেউ বলেন সেহেরি, আবার কেউ সাহরী। এটি আরবী শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ, ঊষার পূর্বের খাবার। পারিভাষায় সেহরির অর্থ হল, মুসলিমদের দ্বারা গৃহীত ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার, যা রমজান মাসে বা অন্য কোন দিন সাওম রোজা পালনের উদ্দেশ্যে ফজরের নামাজ বা ঊষার পূর্বে গ্রহণ করা হয়।
হজরত আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা সেহরী খাও। কারণ, সেহরিতে বরকত নিহিত। (সহিহ বুখারী) মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, আর রাত্রি বেলা খানা-পিনা কর যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমাদের সম্মুখে রাত্রির বুক হতে প্রভাতের শেষ আভা সুস্পষ্ট হয়ে উছে। তখন এসব কাজ পরিত্যাগ করে রাত্রি পর্যন্ত তোমরা রোজা পূর্ণ করে নাও। (সূরা বাকারা-১৮৫)
সেহরির শেষ সময় হচ্ছে সুবহে সাদিক। ফজরের ওয়াক্তও শুরু হয় সুবেহ সাদিক থেকে। যখনই সেহরির সময় শেষ, তখনই ফজরের সময় শুরু। সেহরি খাওয়া অবস্থায় ফজরের আজান হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া বন্ধ করতে হবে। যথারীতি রোজা পালন করবেন।
সেহরির দোয়া
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন্ শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস্ সামিউল আলিম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র মাহে রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম। অতএব তুমি আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।