বায়ুদূষণে ওষ্ঠাগত দিল্লির মানুষের প্রাণ। কিছুতেই কাজ হচ্ছে না, অগত্যা ফের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নোটিশ জারি হলো।
বায়ুদূষণের কারণে দিল্লি ও এর লাগোয়া শহরগুলোর স্কুল কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা জানালো ভারতের বাতাসের মান নির্ণায়ক কেন্দ্রীয় কমিশন (সিএকিউএম)। করোনা মহামারির সময়ের মতো আবারও শুধু অনলাইন ক্লাসে ফিরতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ( ১৬ নভেম্বর) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৯ পৃষ্ঠার সেই নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এনসিআর-এর অন্তর্ভুক্ত রাজ্যগুলোকে (দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ) তাদের সরকারি কর্মীদের অন্তত ৫০ শতাংশ ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িতে থেকে যেন কাজ করেন। বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও একই নির্দেশনা পালনে উৎসাহিত করার কথা বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও আছে, কেউ রাস্তায় আবর্জনা বা নির্মাণসামগ্রী জড়ো করলে জরিমানা করতে বলা হয়েছে। রেল, মেট্রো, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কাজ বাদ দিয়ে সব নির্মাণ ও ইমারত ভাঙার কাজ ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া রাজধানী দিল্লিতে ট্রাক ঢোকা বন্ধ করা হয়েছে। ১০ ও ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি আপাতত রাস্তায় নামতে পারবে না। দূষণ সংক্রান্ত কাগজপত্র ছাড়া কোনও গাড়ি রাস্তায় বার করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তাছাড়া এনসিআর-এ অবস্থিত ১১টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র পাঁচটি আপাতত সচল থাকবে।
সিএকিউএম-এর এই নির্দেশনা এলো যখন দিল্লি রাজ্য রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে বায়ুদূষণে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে।
এর আগে দিল্লি রাজ্য সরকার বায়ুদূষণ কমাতে অন্তত সপ্তাহান্তে লকডাউন করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তাতেও দূষণ না কমলে টানা সাত দিন লকডাউনের কথা ভাবতে বলেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রশাসন।
চলতি বছর এই দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে দূষিত বায়ু রেকর্ড হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। ভয়াবহ এই পরিস্থিতির কারণে দিল্লিবাসীকে ঘরে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।