ব্যাটারদের হতাশার দিনে সংগ্রহটা খুব একটা বড় হয়নি বাংলাদেশ দলের। তবু বোলাররা ম্যাচ এনে দিয়েছিলেন হাতের মুঠোয়। কিন্তু শেষদিকে গিয়ে ছন্নছাড়া বোলিংয়ে প্রায় জেতা ম্যাচটিই হারতে হলো বাংলাদেশ দলকে। শ্রীলঙ্কার কাছে ৪ উইকেটে হেরেই প্রস্তুতি পর্ব শুরু হলো টাইগারদের।
আবুধাবির টলারেন্স ওভালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি পর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৭ রান করেছিলো বাংলাদেশ। জবাবে ৭৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত এক ওভার হাতে রেখেই ৪ উইকেটে ম্যাচটি নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই দুই ওপেনার কুশল জেনিথ পেরেরা (৪) ও পাথুম নিসাঙ্কা (১৫)। বেশি কিছু করতে পারেননি দীনেশ চান্দিমাল (১৩), ভানিন্দু হাসারাঙ্গা (৭), ভানুকা রাজাপাকশে (০) ও দাসুন শানাকারাও (৭)। ফলে মাত্র ৭৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় তারা।
ইনিংসের ১১তম ওভারেই ছয় উইকেট পতনের পরও ঘাবড়ে যাননি ফর্মে থাকা টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান আভিশকা ফার্নান্দো। চামিকা করুনারত্নের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৮.১ ওভারে অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন আভিশকা। তিনি অপরাজিত থাকেন ফিফটি হাঁকিয়ে।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন সৌম্য সরকার। তিনি তিন ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ করেন। এছাড়া শেখ মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের শিকার একটি করে উইকেট। মূলত শেষ দিকের বাজে বোলিংয়েই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন খারাপ ছিল না বাংলাদেশের। লিটন দাস আর নাইম শেখের ২৫ বলের উদ্বোধনী জুটিতে ওঠে ৩১ রান। ১৪ বলে ১৬ করে লিটন ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
নাইম বরাবরের মতো সেট হতে গিয়ে বল বেশি খরচ করে ফেলেন। তবে এবার ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে মাত্র ১১ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম আর আফিফ হোসেন ধ্রুবও। মুশফিক ১৩ বলে ১৩ আর আফিফ ১১ বলে ১১ রানে আউট হন। সৌম্য সরকার অবশ্য হারানো ফর্ম ফিরে পেয়েছেন অনেকটাই।
দুই ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিতই ছিল তার ব্যাটে। তবে দলের একশ রান পূরণ হওয়ার কিছু পরই থামতে হয়েছে তাকেও। ২৬ বলে ১ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় সৌম্যর উইলো থেকে আসে ৩৪ রান।
এরপর দুশমন্থ চামিরার করা ইনিংসের ১৮তম ওভারে টানা দুই বলে সাজঘরে ফেরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী আর নুরুল হাসান সোহান। শামীম ৮ বলে ৫ আর সোহান ১৪ বলে করেন ১৫ রান।
শেষদিকে শেখ মাহেদি হাসানের ১২ বলে অপরাজিত ১৬ (একটি করে চার-ছক্কায়) আর তাসকিন আহমেদের ৪ বলে ৪ রানে কোনোমতে ১৪৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল দুশমন্থ চামিরা। ডানহাতি এই পেসার ১৭ রান খরচায় শিকার করেন ৩টি উইকেট।