চিত্রনায়িকা পরীমনির গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ জব্দ করা ১৬টি আলামত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।আজ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার শুনানি শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী মোস্তাফা কামালকে নির্দেশ দেন।
পরীমণির জব্দ করা ১৬টি আলামতের মধ্যে রয়েছে- হ্যারিয়ার গাড়ি, দু’টি ল্যাপটপ, তিনটি আইফোন, একটি আইপ্যাড, মেমোরি কার্ড একটি, পেনড্রাইভ একটি, একটি মডেম, মাই স্টাইক একটি, দুই ব্যাংকের দু’টি ভিসা কার্ড, একটি গোল্ড কার্ড এবং দুটি পাসপোর্ট।
চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি তার ব্যবহৃত গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ জব্দ করা আলামত ফেরত পাওয়ার জন্য আজ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার সাদা রঙের গাড়িতে করে আসেন। এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে উপস্থিত হন তিনি।
এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি পুলিশ দুইটি জব্দ তালিকার মোট ১৬টি আলামত পরীমণিকে দেওয়ার জন্য প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘যদি পরীমণিকে তার জব্দকৃত আলামত ও মালামাল ফেরত দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে তদন্তে কোনও বিঘ্ন ঘটবে না। পরে আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি করতে পরিমণিসহ আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত হন।’
গত ১৫ সেপ্টেম্বর আইনজীবীরা পরিমনির ব্যবহৃত সাদা রঙের একটি গাড়ি ও মোবাইল, ল্যাপটপসহ আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জব্দকৃত কিছু জিনিসপত্র ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে বিআরটিএ থেকে গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বাসা থেকে মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন ধরনের জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় তিনদফা রিমান্ডসহ ২৭ দিনের জেলজীবন শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান দেশের অন্যতম শীর্ষ এ চিত্রনায়িকা। পরে তার রিমান্ডের বৈধতা নিয়েও নানারকম প্রশ্ন ওঠে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর আইনজীবীরা পরীমণির ব্যবহৃত সাদা রঙের একটি গাড়ি ও মোবাইল, ল্যাপটপসহ আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জব্দকৃত কিছু জিনিসপত্র ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে বিআরটিএ থেকে গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।