ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে বরাবরই উজ্জ্বল পারফরম্যান্স নেইমার জুনিয়রের। ক্লাব ফুটবলের তুলনায় জাতীয় দলেই বেশি স্বপ্রতিভ থাকেন তিনি। তবু ব্রাজিলের মানুষের কাছ থেকে খুব একটা সম্মান পান না তিনি। চুন থেকে পাস খসলেই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোরে নেইমারের জাদুকরী পারফরম্যান্সে পেরুর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে ব্রাজিল। দলের জয়ে এক এসিস্ট ও এক গোল করেছেন নেইমার। কিন্তু এরপরও যেন ঠিক মনে আনন্দ নেই নেইমারের।
কেননা নিজ দেশের মানুষের কাছ থেকেই পাচ্ছেন না যথাযথ সম্মান। তাই রাখঢাক না রেখে সরাসরিই নিজের রাগ উগরে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন। পেরুকে হারানোর পর সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘আমি জানি না, এই জার্সি গায়ে আর কী করতে হবে সমর্থকদের সম্মান পাওয়ার জন্য।’
পেরুর বিপক্ষে গোলটি করার মাধ্যমে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হয়ে গেছেন নেইমার। বাছাইয়ে তার গোল এখন ১২টি। বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার লড়াইয়ে এতো বেশি গোল দিতে পারেননি ব্রাজিলের আর কোনো ফুটবলার।
তবু নেইমারের পারফরম্যান্সের চেয়ে বেশি কথা হয় যেন তার মাঠের বাইরের নানান ঘটনাদি নিয়ে। বিশেষ করে গত সপ্তাহে চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতা ম্যাচের পর নেইমারকে কথা শুনতে হয়েছে তার মেদযুক্ত ভুঁড়ির কারণে।
অথচ আসলে নেইমারের পেটে কোনো মেদ নেই। সেদিন বড় মাপের জার্সি পরায় মোটা দেখাচ্ছিল তাকে। আর এটি নিয়েই চারিদিকে শুরু হয় নানান সমালোচনা। ঠিক পরের ম্যাচে গোল করে জার্সি উঠিয়ে নিজের মেদহীন পেট দেখিয়েই যেন সবকিছুর জবাব দেন নেইমার।
নিজেকে নিয়ে চলা পারিপার্শ্বিক ঘটনাগুলোর ব্যাপারে নেইমার বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক নয়, খুবই অস্বাভাবিক। আমার সঙ্গে লম্বা সময় ধরে এটি হয়ে আসছে। রিপোর্টার, ধারাভাষ্যকার এবং সবাই মিলেই এটি করে। কখনও কখনও আমি সাক্ষাৎকারও দিতে চাই না। তবে আমার গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে আমি দিয়ে থাকি।’