মিথ্যা এড়িয়ে চলা যায়, তবে এটি খুব সহজ নয়। অনেকের স্বভাব থাকে বিনা কারণে মিথ্যা বলা। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে মিথ্যা বলে থাকেন। যেমন ধরুন বেশিরভাগ নারী নিজের বয়স কমিয়ে বলতে পছন্দ করেন। পুরুষের মধ্যে বয়স কমিয়ে বলার প্রবণতা অবশ্য কম। তবে পুরুষেরাও নানা কারণে মিথ্যা বলে থাকেন। জেনে নিন এমন ৭টি কারণ সম্পর্কে-
কোনো নারীকে প্রভাবিত করার জন্য
যদি কোনো পুরুষ মনে করেন যে সে তার জীবনে যথেষ্ট কাজ করেনি যা একজন নারীর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, তাহলে তিনি বানিয়ে বলতে শুরু করেন। এমনকিছু উপস্থাপন করেন যা আসলে তিনি করেননি বা তার অর্জন নয়। পছন্দের নারীর সামনে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে তিনি এমনটা করতে পারেন। তাই কোনো পুরুষ নিজের সম্পর্কে কিছু বললে আগে তা যাচাই-বাছাই করে নেবেন।
সঙ্গীকে কষ্টা না দেওয়ার জন্য
সত্যিটা বললে সঙ্গী কষ্ট পেতে পারে ভেবে অনেক পুরুষ মিথ্যা উপস্থাপন করেন। যখন কোনো পুরুষ কোনো নারীকে ভালবাসে, সে তার অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। তাই সঙ্গী যেন কোনোভাবে কষ্ট না পায় সেই চেষ্টা করেন। যদি সঙ্গী তার সৌন্দর্য নিয়ে মন খারাপ করেন তখন তিনি মিথ্যা হলেও প্রশংসা করেন যে, তুমি দেখতে মোটেও অসুন্দর নও।
নিজের ইগো বাড়ানোর জন্য
বেশিরভাগ পুরুষের ভেতরেই বিশাল ইগো থাকে। এটি তারা কখনো নষ্ট হতে দিতে চায় না। তাই টুকটাক মিথ্যা বলার মাধ্যমে হলেও তিনি নিজের ইগো ধরে রাখতে চান। অনেক সময় ভুলভাল কাজ করে ফেললেও তিনি সহজে স্বীকার করতে চান না বা সরাসরি অস্বীকার করেন। নিজের ইগো ধরে রাখতেই তারা এমনটা করে থাকেন।
দ্বন্দ্ব এড়াতে
সত্যি বললে দ্বন্দ্ব বেধে যেতে পারে ভেবে অনেক পুরুষ মিথ্যার আশ্রয় নেন। কারণ সত্যিটা সব সময় সবাই হজম করতে পারেন না। তাই পরিস্থিতি বুঝে তারা সত্যিটা অনেক সময় গোপন করে যান। চিৎকার, চেচামেচি, দ্বন্দ্ব এড়াতে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে তারা মিথ্যাকে বেছে নেন।
বিপজ্জনকভাবে জীবনযাপন চালিয়ে যেতে
কিছু পুরুষ মিথ্যা বলার রোমাঞ্চকে উপভোগ করেন। তারা সারা জীবন মিথ্যা বলেছেন এবং খুব কমই ধরা পড়েছেন। তাই তারা সেটি উপভোগ করেন। তারা এই স্বভাব কোনোভাবেই ছাড়তে পারেন না। এই ধরনের পুরুষরা তাদের ভাগ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেখতে চায় যে তারা কতদূর যেতে পারে।