অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশের ১০টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যায় তলিয়ে গেছে ১৫ জেলার নিম্নাঞ্চল। এর মধ্যে ১১ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, বর্তমানে দেশের ১৫ জেলা বন্যায় আক্রান্ত। জেলাগুলো হচ্ছে- উত্তর এলাকার কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, পাবনা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল এবং মধ্যাঞ্চলের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর। তবে এ জেলাগুলোর মধ্যে আগামী ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এছাড়া দেশের ১০ নদ-নদীর পানি ২২টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে- পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা, ঘাঘট, তুরাগ, আত্রাই ও ধলেশ্বরী। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে। অন্যদিকে যমুনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে আগামী ৫ দিন বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঢাকায় ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়িাস এবং সবচেয় বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কুমিল্লায় ৮২ মিলিমিটার।
