কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সামান্য কমে সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার চর ও দ্বীপচরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার ১৬ হাজার ৪০৭ হেক্টর রোপা আমান ও ২৭০ হেক্টর সবজি খেত। দীর্ঘ দিন পানির নিচে থাকায় বেশির ভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২৮০ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রায় ৭০০ পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। নদ-নদীর পানি বাড়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না।