উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে এক সপ্তাহ ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৪৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) সিরাজগঞ্জের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ ও কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টের গেজ রিডার ওমর আলী আরটিভি নিউজকে জানান, শুক্রবার (২০ আগস্ট) ভোর ছয়টা থেকে শনিবার (২১ আগস্ট) ভোর ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ দুটি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
গত শনিবার (১৪ আগস্ট) থেকে শুরু করে আজ শনিবার (২১ আগস্ট) পর্যন্ত টানা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল ইতোমধ্যেই বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ সকল এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন দুর্গতরা। বন্যা কবলিত এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত ও বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজিবাগানসহ বিভিন্ন ফসল।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলার যমুনা নদী তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ইতোমধ্যেই জেলার কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, তেকানি, মুনসুরনগড় ও খাসরাজবাড়ি ইউনিয়ন এবং চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও বসতভিটা। নদীর পার থেকে ঘড়-বাড়ি সড়িয়ে নিচ্ছেন ভাঙন কবলিতরা।