করোনার ধাক্কায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে। যদিও আয়োজনে ভারতই থাকছে।
মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আগামী ১৭ অক্টোবর পর্দা উঠবে এই মেগা ইভেন্টের। আর সেদিনই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান।
সূচি বলছে – প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচই খেলবে ওমানে। প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। ১৯ অক্টোবর ওমান ও ২১ অক্টোবর পাপুয়া নিউগিনির মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ওমান ক্রিকেট একাডেমি মাঠে মাহমুদউল্লাহদের প্রথম দুটি ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়, তৃতীয়টি বিকাল ৪টায়।
এদিবে বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণার দিন আইসিসির ওয়েবসাইটে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অধিনায়করা যার যার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমদুউল্লাহ রিয়াদও অংশ নিয়েছেন তাতে।
তিনি মূলত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল এখন কতটা শক্তিশালী সেই বার্তাই দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমাদের মূল শক্তি একঝাঁক অলরাউন্ডার ও বোলিং বিভাগ। আমাদের ব্যাটিংও ভালো। দল দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। এমন পাঁচ-ছয়জন অলরাউন্ডার আছে আমাদের, যারা ব্যাটে-বলে সমান অবদান রাখতে পারে। এই মুহূর্তে আমাদের ফাস্ট বোলাররা দারুণ ছন্দে আছে। আর স্পিন তো বরাবরই আমাদের শক্তির জায়গা। তারা যদি নিজেদের মেলে ধরতে পারে, আশা করি ভালো কিছুই হবে।’
কয়েকজন টাইগারের কথা আলাদাভাবে বললেন মাহমুদউল্লাহ – ‘সাকিব বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার এবং আমাদের দলের এক অমূল্য সম্পদ। মুশফিকুর ও মোস্তাফিজুরও দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া আফিফ, শামীম ও নুরুল হাসানের মতো প্রতিশ্রুতিশীল তরুণরাও ভালো করতে মুখিয়ে আছে।’
এরপর মাহমুদউল্লাহ জানালেন, বাংলাদেশ দলের প্রথম লক্ষ্য সুপার টুয়েলভ। এরপর ধাপে ধাপে সামনে এগিয়ে যাওয়া। যে কারণে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচগুলোকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই খেলবে তার দল।
তিনি বললেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, প্রথম বল থেকেই সেরাটা খেলতে হবে। সেরা মানসিক অবস্থায় থেকে পুরো মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। এভাবেই শুধু জেতা সম্ভব।’