একের পর এক বিতর্কে নাম জড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হলিউডের অনেক জনপ্রিয় শিল্পীর ক্যারিয়ার। সেই তালিকায় যোগ হয়েছে জনি ডেপের নাম। স্ত্রীর বিরুদ্ধে করা মামলায় হেরে একের পর এক কাজ হারাতে হচ্ছে অভিনেতাকে। সম্প্রতি এই বিষয়ে কথা বলেছেন জনি ডেপ।‘সানডে টাইমস’-এ দেয়া সাক্ষাৎকারে জনি ডেপ বলেন, ‘আমি তো প্রতিশ্রুতি রেখেছি। অন্যদেরও সেটা রাখা উচিত ছিল।’
জনি ডেপ অভিনীত ‘মিনামাটা’ যুক্তরাজ্যে মুক্তি পেলেও যুক্তরাষ্ট্রে পায়নি। বিতর্কের সৃষ্টি হওয়াতে ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি দেয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে অভিনেতাকে। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘কিছু ছবি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মিনামাটাও সেরকম ছবি। হলিউড আমাকে বয়কট করছে? একজন মানুষ, একজন অভিনেতা, একটি অপ্রীতিকর ঘটনা এবং সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাওয়া গত কয়েকটি বছরে।’জনি ডেপ জানান, কোনো প্রতিবাদ না করে চুপচাপ নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চান তিনি।
হলিউড তারকা জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড ২০১৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও ২০১৬ সালে জনি ডেপের বিরুদ্ধে শারীরিক ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে আদালতে ডিভোর্সের আবেদন করেন অ্যাম্বার হার্ড। স্ত্রীর সেই অভিযোগ অস্বীকার করলেও ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন জনি ডেপ।
সেই সময়ে আদালতের কাছে দুইজন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, ভবিষ্যতে তাদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে জনসম্মুখে আর কোনো ধরনের আলোচনা করবেন না তারা।
কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে আবারও শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন তার সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ড। এ কারণেই পরবর্তীতে ব্যক্তিগত আইনজীবীর সহায়তায় মানহানির মামলা করেছিলেন জনি ডেপ। ৫০ মিলিয়ন ডলারের এই মানহানি মামলায় হেরে ক্যারিয়ার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই তারকা।