বাসা থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা, মদ ও সীসাসহ রোববার রাতে (২ আগস্ট) মডেল পিয়াসাকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দা পুলিশ। বারিধারার ৯ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে পিয়াসাকে গ্রেপ্তারের পর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় তাকে নিয়ে অভিযান শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। এদিকে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসারকে গ্রেফতারের পর থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।
পিয়াসার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় একটি গরুর ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন মডেল পিয়াসা। ওই ফার্মের জন্য টেকনাফ থেকে বার্মিজ গরু আনার সময় গরুর পেটে ঢুকিয়ে আনা হতো ইয়াবার চালান। এ কাজে পিয়াসার প্রধান সহযোগী হলেন জনৈক জিসান ও মিশু।
এর আগে গত রোববার (২ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বারিধারার বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে আটক করা হয়। এরপর গভীর রাতে মোহাম্মদপুরে একটি বাসা থেকে ইয়াবাসহ মডেল মৌ আক্তারকে আটক করে ডিবি। পিয়াসা ও মৌ একই সিন্ডিকেটে কাজ করে।
পিয়াসার ঘরের টেবিল থেকে চার প্যাকেট ইয়াবা (কত পিস জানা যায়নি), রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ, ফ্রিজে একটি আইসক্রিমের বাক্স থেকে সিসা তৈরির কাঁচামাল এবং বেশ কয়েকটি ই-সিগারেট পাওয়া গেছে। এছাড়া পিয়াসার কাছ থেকে ৪টি স্মার্টফোন জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আর মৌয়ের বাসার ভেতরে ড্রয়িং রুমের পাশেই একটি মিনি বার দেখা গেছে। বাসার ভেতরের বেডরুমের একটি ড্রয়ার থেকে পাঁচ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ওই বেডরুমের ভেতরে আরেকটি ড্রেসিং রুম থেকে অন্তত এক ডজন বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারের পর সোমবার (৩ আগস্ট) তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে গুলশান ও মোহাম্মদপুরে পৃথক দুটি মামলা হয়। এরপর আদালতে উপস্থাপন করলে উভয়ের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
প্রসঙ্গত, আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় ২০১৭ সালের ৬ মে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন। ২০১৫ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল।