উঠতি বয়সীদের দিয়ে অপকর্ম করাতো মৌ-পিয়াসা

মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তারকে মৌকে আলাদা মামলায় তিন দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। দুজনের আইনজীবীই দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে পিয়াসা ও মৌকে। যদিও রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, উচ্চবিত্তের সন্তানদের ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ তদন্তেই এই রিমান্ড। উচ্চবিত্তের সন্তানদের ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে গ্রেফতারের পর আদালতে নেয়া হয়েছে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে। গুলশানের বাসা থেকে আটকের সময় পিয়াসার বাসায় বিপুল মাদক পাওয়ার দাবি করেছে ডিবি। যদিও তা অস্বীকার করতে দেখা যায় পিয়াসাকে।

ডিবির পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলেও শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত। তবে পিয়াসাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি আইনজীবীর। এনিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের দাবি এসব মাদক পিয়াসার বাসা থেকেই উদ্ধার হয়েছে। একই রকম অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার মরিয়ম আক্তার মৌকেও আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে মঞ্জুর হয় ৩ দিনের। তার আইনজীবীও বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র দাবি করেছেন। আর রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, কে দোষী আর কে দোষী না তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

তবে অভিযান পরিচালনাকারী ডিবির কর্মকর্তা জানান, এই দুই মডেল যে চক্রের সাথে জড়িত সেই চক্রের শ’খানেক সদস্যের তথ্য তাদের হাতে রয়েছে।গত রবিবার (১ আগস্ট) রাতে বনানীর রেইনট্রিতে ধর্ষণকাণ্ড ও গুলশানে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া আত্মহত্যাকাণ্ডে আলোচনায় আসা মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাকে আটক করে ডিবি। আর মোহাম্মদপুর এলাকার বাবর রোড থেকে ইয়াবা ও মাদকসহ মৌ আক্তার নামের আরও এক মডেলকে আটক করা হয়।

পরে সোমবার (২ আগস্ট) পিয়াসার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম। মমালার অভিযোগে বলা হয়েছে, তার বাড়িতে অভিযান চালালে মদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব পাওয়া গেছে। এদিকে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার (২ আগস্ট) মৌ আক্তারের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে ডিবির পরিদর্শক শিশির কুমার। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মৌয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে।

Full Video


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এটা দেখেছেন কি? দেখে নিন