শুধু মুখের রুচি ফেরার কাজেই নয়, আমলকির রয়েছে নানা ধরনের গুণাগুন। বিশেষ করে ভেষজ গুণে আমলকি ফল অনন্য। এছাড়াও ফলটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কেননা এ ফলে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’। এছাড়াও আছে ‘পলিফেনল’ ও ‘অ্যান্টি অক্সিডেন্টস’। আছে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ক্যারোটিন।
নিয়মিত আমলকির জুস পানে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, হজম ভালো হয়, কোলেস্টেরল ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমে।
আমরা অনেকেই তারুণ্য রাখতে সকালে খালি পেটে লেবুর পানি খাই। লেবুতে আছে ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট’ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আবার মেদও কমায়। তবে এর থেকেও বেশি উপকার মিলবে আমলকিতে।
একটু অবাক লাগছে তাই না? কিন্তু এটিই সত্যি। কয়েকটি আমলকি প্রথমে টুকরো করে কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপরে এই পানি সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। সঙ্গে আমলকির টুকরোগুলোও খেতে পারেন।
আমলকি খাওয়ার সুফল
১। আমলকিতে রয়েছে ‘ক্রোমিয়াম’ যা রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে হাজার গুণ বাড়িয়ে দেয় আমলকিতে থাকা ভিটামিন ‘সি’।
৩। আমলকি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। ব্রণ, খোসপাঁচড়া প্রতিরোধ করে ও কমায়। আমলকি খেলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।
৪। আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে দূষণমুক্ত করে, মেদও কমায়।
৫। আঁশ সমৃদ্ধ আমলকি পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি কাজ করে প্রাকৃতিক রেচক ওষুধ হিসেবে যা দেহ থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
৬। চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে আমলকি এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুল বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি চুলের খুশকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।