হাটে মাঝারি গরুর চাহিদা বেড়েছে


ঢাকার বিভিন্ন কোরবানির হাটে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। ক্রেতারা প্রথম সারির তালিকায় মাঝারি ধরনের গরু রাখছেন। ইতোমধ্যে হাটে যেসব গরু বিক্রি হয়েছে এর অধিকাংশই মাঝারি। শনিবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর শনিরআখড়া ও উত্তরার ১৭ নাম্বার সেক্টরে পশুর হাটে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, হাটে গবাদিপশু ভরপুর থাকলেও ক্রেতাদের আনাগোনা কম। তবে বিক্রেতারা মনে করছেন আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে হাটে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাবে। কারণ রাজধানীতে অনেকে গরুর রাখার জায়গার সমস্যা থাকায় শেষ দিকে গরু কেনেন।

জামালপুর ও রংপুর থেকে শনিরআখড়া আসা গরুর ব্যাপারীরা বলছেন, গত দুই দিনে ছয়টা গরু বিক্রি করেছেন সবগুলো মাঝারি সাইজের। তবে আশা করছি বড় গরুগুলো আগামী দুই একদিনের মধ্যে বিক্রি করতে পারব।

যাত্রাবাড়ী এলাকার হাশেম মিয়া পশু কিনতে শনিরআখড়া হাটে এসেছেন, কী ধরনের গরু কিনবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি একটা গরু কিনব। ঠিকঠাক মতো পেলে আজই নিয়ে যাব। না হয় পরে আবার আসব।

হাটে গরু কিনতে আসা ফজলুল হক নামের এক ক্রেতা বলেন, এবার গরুর দাম খুব। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে হাটে ঘুরছি কিন্তু দরদাম মিলছে না। বিক্রেতারা মনে করছেন আরও পরে গরু বিক্রি করলে বেশি দাম পাবে। সেই ভেবে বেশি দাম চাচ্ছেন।

পাবনা সদর থেকে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জানালেন, বৃহস্পতিবার ১০টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি। তবে আশাবাদী কাল থেকে ক্রেতা সমাগম বাড়লে বিক্রি শুরু হবে।

উত্তরার ১৭ নং সেক্টর হাটের হাসিল বুথে দায়িত্বপ্রাপ্ত আশিকুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত যতগুলো গরু বিক্রি হয়েছে, এরমধ্যে মাঝারি সাইজের বেশী। জটলা কমাতে এবং স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী ও ভলান্টিয়ার কাজ করছেন বলে জানান তিনি।

Full Video


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এটা দেখেছেন কি? দেখে নিন