প্রিয় মানুষের মন পাওয়ার জন্য ছুটে যান কবিরাজের কাছে। এক নয়, একাধিকবার ডাবপড়া-তাবিজ দিলেও কাজ হয়নি কিছুতেই। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে কবিরাজ ফাতেমা বেগমকে কুপিয়ে খুন করেন এক যুবক। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন।সোমবার (১২ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দাশপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় ওই যুবককে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত ব্যক্তি একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া এলাকার মেহেরজান বাপের বাড়ির ইব্রাহীমের ছেলে এহসান।নিহত ফাতেমা বেগম ওই এলাকার মোস্তাক আহমেদ সিকদারের স্ত্রী। আহতরা হলেন, ফাতেমার মেয়ে বৃষ্টি, একই এলাকার মো. খোকনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও ইফতেখারের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদফা ডাবপড়া ও তাবিজে কাজ না হওয়ায় সোমবার (১২ জুলাই) সকালে ফাতেমার কাছে ছুটে যান এহসান। এ সময় পড়ানো ডাব কাটতে ফাতেমার কাছ থেকে একটি দা চেয়ে নেন। এর ফাঁকে আগের তাবিজে কাজ হয়নি বলায় তাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেন ফাতেমা। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ফাতেমাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তিনি। এ সময় ফাতেমার মেয়েসহ আরও দুজন এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করেন এহসান।
পরে আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া আরটিভি নিউজকে বলেন, সোমবার বেলা ১১টার সময় বাঁশখালী থেকে আহত ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। ডাক্তার ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি ৩ জনের অবস্থাও গুরুতর। তাদের ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ওসি শফিউল কবির বলেন, হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন এহসান। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।