যশোরের শার্শা উপজেলার পল্লীতে আড়াই বছর একটি ষাঁড় লালন-পালন করছেন কৃষক আমিনুর। ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন ‘টাইগার’। আসন্ন কোরবানির ঈদে গরুটি বিক্রি করবেন। দাম হাঁকছেন ছয় লাখ টাকা।
তবে করোনায় উপযুক্ত দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ষাঁড়টির মালিক। গরুটিতে ২০ মণ মাংস আছে বলে দাবি তার। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই দামে ক্রেতা পাচ্ছেন না তিনি।
প্রতিবছর ঈদুল আজহা আসলেই দৈহিক আকৃতি ও দামের কারণে কিছু কিছু গরু আলোচনায় আসে। এদের নামও দেয় হয় আকর্ষণীয়। এবারও কোরবানির ঈদ সামনে করে এর ব্যতিক্রম হয়নি।
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের জামতলা এলাকায় ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরুর সন্ধান পাওয়া গেছে। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘জামতলার টাইগার’। কালো ডোরাকাটা রঙের গরুটিকে আড়াই বছর ধরে সন্তানের মতো লালন-পালন করে আসছেন কৃষক আমিনুর ও তার স্ত্রী হাজিরা বেগম।
গরুটির ওজন ২৮ মণ। ছয় লাখ টাকা হলে বিক্রি করে দেবেন কৃষক আমিনুর। বাজারে তোলার আগেই স্থানীয় এক ব্যাপারী চার লাখ টাকা দাম দিতে চেয়েছেন বলে জানান তিনি।
দৈহিক আকৃতির কারণে ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে ‘জামতলার টাইগার’। এর মালিক আমিনুর বলেন, নিজস্ব গাভি ফ্রিজিয়ান ক্রস ব্যবহার করে গরুটি উৎপাদন করা হয়েছে। এর বর্তমান বয়স আড়াই বছর। ষাঁড়টিতে ২০ মণ মাংস পাওয়া যাবে বলে স্থানীয় কসাইরা জানিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে এ জাতের গরু ২৫-৩০ মণ হতে পারে বলে তিনি জানান।
কৃষক আমিনুর জানান, গরুটি বড় করার ক্ষেত্রে তিনি স্বাভাবিকভাবে দানাদার ও তরল খাদ্য হিসেবে খড়, বুট ও ছোলার ভুসি, গম, চিটাগুড়, ভেজানো চাল, খৈল, নেপিয়ার ঘাসসহ প্রাকৃতিক খাবারই দিয়েছেন। মোটাতাজা করতে বিশেষ কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেননি। ছয় লাখ টাকা হলে তিনি ষাঁড়টি বিক্রি করে দেবেন।
টেংরা গ্রামের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোজাম গাজি বলেন, কৃষক আমিনুর অনেক যত্ন করে গরুটি লালন-পালন করেছেন। তবে করোনার এই সময় উপযুক্ত দাম পাবেন কি-না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ন্যায্য দাম না পেলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং এ ধরনের ষাঁড় পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।