বাংলাদেশের আকাশে রোববার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ২১ জুলাই (বুধবার) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।রোববার বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
হিজরি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করেন। কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) মহামারিতে বিধিনিষেধের মধ্যে এবার এ উৎসব উদযাপন করতে হতে পারে।সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রোববার বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪২ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সোমবার (১২ জুলাই) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। ২১ জুলাই (১০ জিলহজ) বুধবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
এর আগে ফেনীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান জাগো নিউজকে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে চাঁদ দেখা গেছে। আমি এখানকার চাঁদ দেখা কমিটির মিটিংয়ে আছি। আমরা এখন ঢাকায় জাতীয় কমিটির কাছে চাঁদ দেখার তথ্য জানিয়ে দেব।’শনিবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আগামী ২০ জুলাই ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। হজ অনুষ্ঠিত হবে ১৯ জুলাই।
ঈদুল ফিতরের পর ঈদুল আজহা মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এ উৎসবে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাদের প্রিয় বস্তু অর্থাৎ পশু কোরবানি করেন।
ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়ই লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র ভূমিতে হজব্রত পালনরত অবস্থায় থাকেন। হাজিরা ঈদের দিন সকালে কোরবানি দেন। কিন্তু করোনার কারণে এবারও পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে হজ করতে যাওয়ার সুযোগ বাতিল করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজের সুযোগ পাবে শুধু সৌদি আরবের বাসিন্দা এবং দেশটিতে বসবাসরত বিদেশিরা।
এবার ঈদে ২০, ২১ ও ২২ জুলাই সরকারি ছুটি থাকার কথা। এরপর ২৩ ও ২৪ জুলাই (শুক্র ও শনিবার) রয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। যদিও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে কিছুদিন ধরে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সারাদেশের মানুষের জীবন। শিল্প কারখানা ছাড়া বন্ধ সরকারি-বেসরকারি অফিস।
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, গ্রামের বাড়িতে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রেল, সড়ক ও নৌপথে রাজধানী ছাড়েন অসংখ্য মানুষ। চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এখনও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি নেই। তাই মনে করা হচ্ছে ঈদও কাটবে বিধিনিষেধের মধ্যে।