পটুয়াখালী: বিয়ের দ্বিতীয় দিনেই ৬০ বছরের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে তালাক দিলো কিশোরী। পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমঘটিত সালিশ বৈঠকে মেয়েকে দেখে পছন্দ হওয়ার পর তাৎক্ষণিক বিয়ে করা চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে গেছে কিশোরী।
শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় তাদের তালাক সম্পন্ন হয় বলে মেয়ের বাবা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে তালাকের পর আবারও বিয়ে করার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।বলেছেন, এবার আর একজনকে নয়, চার জনকে বিয়ে করবেন।
এর আগে, গত শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুরে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন।
এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়ে এখন তাদের বাড়িতেই আছেন।
জানা যায়, সেই কিশোরীর সঙ্গে প্রেম ছিল স্থানীয় বএক যুবকের। আর দুই জন পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের নিয়ে সালিশে বসেছিলেন গত ২১ জুন দ্বিতীয়বারের মতো ভোটে জেতা আওয়ামী লীগ নেতা।
ঘটনা এটি হলেও চেয়ারম্যানের দাবি, তার প্রেম ছিল সেই কিশোরীর সঙ্গে। তার ভোটের ব্যস্ততার সুযোগে ওই যুবক মেয়েটির সঙ্গে বাড়ান ঘনিষ্ঠতা। আর এই সুযোগে পালিয়ে যান। সালিশে তিনি সব খুলে বলার পর মেয়েটির বাবা বিয়ে দেন তার সঙ্গে।
মেয়েটির বিয়ের বয়স হয়নি। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে সনদও দেয়া হয় বিয়ে পড়ানোর আগে।
শাহিন হাওলাদার আগে থেকেই বিবাহিত। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। আর যাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন, সেই মেয়ে ও তার নিজের মেয়ে সমবয়সী।
এই বিয়ের আগে প্রথম স্ত্রীর অনুমতিও নেননি চেয়ারম্যান শাহিন। আর রাগে তিনি পটুয়াখালীতে বাবার বাড়ি চলে গেছেন।