চিত্রনায়িকা পরীমণির ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) টেস্ট করানোর কথা বলেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান। গতকাল বুধবার (২৩ জুন) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের আদালতে এ কথা বলেন তিনি। এদিন পরীমণির করা মামলায় নাসির-অমির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের প্রথম শ্রেণির অভিনেত্রী পরীমণি। তাকে মারধর, শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণচেষ্টা করে আসামিরা। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ একান্ত জরুরি।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘মামলায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্ট করানো যেতে পারে। আলামত ফরেনসিকে পাঠানো হোক। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। তাতেই প্রমাণ পাওয়া যাবে নাসির উদ্দিন মাহমুদ নিরপরাধ। দুই পক্ষের শুনানি শেষে গ্রেপ্তারকৃত নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির ৫ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।’
সম্প্রতি বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তোলার পর পরীমণিকে নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যেই গত বুধবার (১৬ জুন) পরীমণির বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। সেদিন রাতে গণমাধ্যমকে পরীমণি জানান, তিনি অল কমিউনিটি ক্লাবে গিয়েছিলেন সত্যি, কিন্তু অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটাননি।এর আগে, গত রোববার (১৩ জুন) রাতে নিজের ফেসবুক পেজে নিজেকে ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন পরীমণি। বিচার চেয়ে আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী বরাবর।
পরেরদিন সোমবার (১৪ জুন) সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ঢাকা বোট ক্লাবের এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমণি। ওই দিনই নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ৫ জনকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। অমির ওই বাসা থেকে লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা নামের তিন নারীকেও আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তুলে রিমান্ড চাইলে তা মঞ্জুর করা হয়। মাদক মামলায় রিমান্ড শেষে বুধবার (২৩ জুন) আদালতে তোলা হয়েছিল নাসির-অমিকে। সেদিনই তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাভার থানায় পরীমণির দায়ের করা ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।