গোয়েন্দা পুলিশের ডাকে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেল আনুমানিক ৪টায় রাজধানী মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন পরীমনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি এবং নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করেছেন পরীমনি।
প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন পরীমনি। ডিবি কার্যালয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন আসছিলাম তখন বলা হচ্ছিল, আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু না, আমি নিজেই এখানে এসেছি। এখানের আসার পর আমি মেনটালি অনেকটাই রিফ্রেশড। আমি কাজে ফিরতে পারব কিনা সেটা নিশ্চত করে কেউ বলতে পারেনি। কিন্তু এখানে আসার পর আমি কাজে ফেরার শক্তি পাচ্ছি। হারুন স্যার আমার সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করেছেন, শক্তি যুগিয়েছেন। আমার বিশ্বাস আমি সঠিক বিচার পাব। সবার এত সাপোর্ট, ভালোবাসা পেয়ে আমি শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারছি।’
সবশেষ পরীমনি অনুরোধ করে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে নতুন নতুন গল্প বানানো বন্ধ করুন। দয়া করে আমাকে সুস্থ জীবনযাপন করতে দেন। আমি নতুন করে কাজ করতে চাই।’তদন্তের স্বার্থে পরীমনিসহ বাকি দুজনকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে। ১৩ জুন সংবাদ সম্মেলন থেকে শুরু করে অনেকটা সময় পরীমনির সঙ্গে ছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। তাই তাকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।
এদিকে পরীমনির সঙ্গে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিচারের দাবিও করা হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে। অন্যদিকে দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘পরীমনির সঙ্গে আছি, থাকব।’