ঢাকাই সিনেমার হালের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই মামলায় এরই মধ্যে প্রধান আসামী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫ জন। কিন্তু প্রশ্ন ওঠেছে, গভীর রাতে কেন পরীমনি বোট ক্লাবে গিয়েছিলেন? এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তির্যক মন্তব্য ও সমালোচনা।
সোমবার রাতে এ বিষয়ে পরীমনি নিজেই গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেন। নিজ বাসায় ডিজাইনার বন্ধু জিমিকে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।পরীমনি জানান, জিমির বন্ধু অমির কথায় বিশ্বাস করেই তারা উত্তরা বোট ক্লাবে গিয়েছিলেন। অমির অনুরোধেই ক্লাবের ভেতরে যেতে হয়েছিল তাদের।
তিনি বলেন, আমরা আসলে জানতাম না যে ওটা বোট ক্লাব। আমরা সত্যিই সেখানে যাওয়ার মতো অবস্থায় ছিলাম না। ঘরোয়া কাপড়চোপড় পরে কি যাওয়া যায়? পরে তারা বেনজীর ভাইয়ের (আইজিপি বেনজীর আহমেদ) কথা বলে। আমাদের সঙ্গে থাকা ছোট বোনটার আম্মু অসুস্থ। আমরা বনানীতে গাড়ি থামিয়ে ওষুধও কিনেছি। আমরা উত্তরাতে যাব। যেহেতু অমি ভাইয়া আমাদের সঙ্গে ছিল, তিনি বলেছেন আমার দুই মিনিটের কাজ আছে।
জিমিকে বারবার অমি রিকোয়েস্ট করছিল জানিয়ে পরীমনি বলেন, তখন রাত ১২টা বেজে গেছে। তার মানে অনেক রাত। সিকিউরিটি ঢুকতে দিচ্ছিল না। পরে কাকে যেন ফোন দিয়েছিল, ত। তখন ওই লোকটা আসল যার সঙ্গে তার কাজ ছিল।
পরীমনি বরেন, আমরা তাড়া দিচ্ছিলাম। আমার সঙ্গে যে মেয়েটা ছিল তার তাড়া ছিল। তার বাথরুমে ধরেছিল। অমি ভাইয়া বলেছিল এখানে সমস্যা নেই ওয়াশরুমে যেতে পার। তখন বেনজির ভাইয়ের নাম বলল। ওয়াশ রুমে তো যেতেই পারি। তখন তার (অমি) বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিল। ওখানে আমরা বসছি। ওখানে মদ পান করছিল। ওখান থেকেই এসে বলল ও পরীমনি তুমি আসছ। তখনই বুঝতে পেরেই আসলে তিনি ওভার ড্রাংক। আমি তাকে দাদা বলে সালাম দিয়েছে। উনি বলল বসো বসো কোনো সমস্যা নেই, বাচ্চা মেয়ে।
পরীমনি ও তার সঙ্গীদের নিয়ে দ্রুত ঢাকা বোট ক্লাব থেকে বের হয়ে যেতে চাইলেও অমি তাদের জোর করেই আটকে রাখছিলেন বলে জানান। এরপরই ঘটে সেই অনাকাঙ্খিত ঘটনা। তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
অপরাধী অনেক তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে পরিমনি বলেন, আঅনেক শান্তি লাগছে। অপরাধী অনেক তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার হয়েছে। আশা করিনি। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ যারা পাশে ছিলেন। আমার আইনের ওপর আস্থা আছে। যেহেতু সবাই আমার পাশে আছে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি যাদের সঙ্গে কাজ করি সহকর্মী ও আমার ভক্তরা এভাবে পাগলের মতো ভালোবাসে জানতাম না।