শিনজিয়াংয়ে চীন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে। এখানকার উইঘুর, কাজাখ ও জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু অন্যান্য মুসলিমরা গণআটক, নজরদারি ও নির্যাতনের শিকার। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে। একইসঙ্গে সংস্থাটি এসব অভিযোগ তদন্তে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড অভিযোগ করেছেন, চীনা কর্তৃপক্ষ শিনজিয়াংকে মুসলমানদের জন্য ‘অকল্পনীয় মাত্রার নিপীড়নের স্থানে’ পরিণত করেছে।তিনি বলেছেন, ‘এটি মানবতার বিবেককে ধাক্কা দিবে যে, বিপুল সংখ্যক মানুষকে বন্দিশিবিরে মগজ ধোলাই, নির্যাতন এবং অন্যান্য নিপীড়নমূলক আচরণের শিকার হতে হয়েছে, একইসময় আরও লাখ লাখ বিপুল নজরদারি ব্যবস্থার মধ্যে ভয়ে বাস করছেন।’
ক্যালামার্ড অভিযোগ করেছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস ‘তার ম্যান্ডেট অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি পরিস্থিতির নিন্দা জানাননি, তিনি আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানাননি। জাতিসংঘ যে মূল্যবোধের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা রক্ষা করা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সামনে নিশ্চুপ না থাকতে তিনি দায়বদ্ধ।’
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ১৬০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি ৫৫ জন সাবেক বন্দির সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রমাণ পাওয়া গেছে চীন অন্ততপক্ষে মানবতার বিরুদ্ধে এসব অপরাধ করেছে : আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক বিধি লঙ্ঘন করে কারাবন্দি বা শারীরিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে চরম বঞ্চনা, নির্যাতন ও নিপীড়ন।এর আগে গত এপ্রিলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বিশ্বাস শিনজিয়াংয়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য চীনা সরকার দায়ী।